প্রতিনিধি, কিশোরগঞ্জ :
কিশোরগঞ্জে পানির অভাবে পাট পঁচাতে না পেরে বিপাকে রয়েছে চাষিরা। বর্ষা মৌসুমে এবার বৃষ্টির প্রবণতা কম থাকায় এবং শেষ পর্যায়ে একেবারেই বৃষ্টি না থাকায় এবং প্রচণ্ড গরম ও প্রখর রোদ্র তাপের কারণে ইতোমধ্যে গ্রামাঞ্চলে খাল-বিল, ডোবা গুলো পানি শূন্য হয়ে পড়েছে। এতে কিশোরগঞ্জ জেলার বিভিন্ন এলাকায় পাট চাষিরা পানির অভাবে পাট পঁচাতে না পেরে চরম বিপাকে পড়েছেন। এদিকে হাট-বাজারগুলোতে আগাম চাষ করা পাটের আমদানি শুরু হয়েছে। বিশেষ করে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার নদী, নালা, খাল, বিল, পুকুর, ডোবা ও নিচু এলাকায় পানি না থাকায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে পাট পঁচানোর জাগয়াগুলো। এতে এই এলাকায় পাট উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার আশংকা করছেন পাট চাষিরা। অনেক এলাকায় স্যালো মেশিন ও বৈদ্যুতিক মোটর দিয়ে পানি দেয়া হচ্ছে পুকুর ও নিচু এলাকায়। চলতি মৌসুমে এ উপজেলায় ১ হাজার ৭৬০ হেক্টর জমিতে পাট চাষাবাদ হয়েছে। বিশেষ করে বেশীর ভাগ পাট চাষ হয়েছে মহিনন্দ, মাইজখাপনসহ উঁচু অঞ্চলে। এবার ফলনও ভাল হয়েছে। এদিকে যে সমস্ত এলাকায় আগাম পাট চাষ করা হয়েছে সেসব এলাকার কৃষকরা তাদের উৎপাদিত পাট বাজারে আনতে শুরু করেছেন। কিন্তু বাজারে ক্রেতা না থাকায় সঠিক মূল্য পাচ্ছে না। পাটের হাট-বাজারগুলো অনুসন্ধান করে জানা গেছে এখন প্রতিমণ পাট গ্রেড অনুযায়ী ২ হাজার থেকে ২ হাজার ৫শ’টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
আলোকিত প্রতিদিন/২৯জুলাই-২১/এইচ