প্রতিনিধি,ফুলবাড়ী(কুড়িগ্রাম):
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার সদর ইউনিয়নের কবির মামুদ গ্রামের খানকা শরীফ সংলগ্ন এলাকায় এক ব্যক্তি সরকারি রাস্তার নিচ দিয়ে ফসলি জমির পানি নিষ্কাশনের জন্য নির্মিত কালভার্টের মুখ ভরাট এবং পানি নিষ্কাশনের সরকারি নালা দখল করায় ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও কৃষি কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, কবির মামুদ গ্রামের বাসিন্দা মৃত সাবাতুল্যাহ মন্ডলের ছেলে আজিজুল হক মন্ডল ওই এলাকার ফসলি জমির পানি নিষ্কাশনের কালভার্টের মুখ ভরাট করে সুপারি বাগান এবং সরকারি নালায় পুকুর দিয়ে মাছ চাষ করছেন। ফলে পানি নেমে যেতে না পারায় এলাকাটির ৩ থেকে ৪শ একর ফসলি জমিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়ে অনাবাদি হওয়ার উপক্রম হয়েছে। এ ব্যপারে আজিজুল হক মন্ডল বলেন আমি জমি ক্রয় করেছি এটা খাসের জমি না।এই কালভার্টের এক পাশে সুপারির বাগান ও অপর পাশে মাছ চাষ করেছি।উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ যদি মনে করেন,তাহলে পাশ দিয়ে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করতে পারবে। কৃষকরা অভিযোগে চলতি আমন মৌসুমে জলাবদ্ধতার কারণে আমন চারা রোপণ করতে পারছেন উল্লেখ করে ওই এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসনে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য অনুরোধও জানিয়েছেন। অভিযোগকারী কৃষকরা বলেন, আমরা কৃষিকাজ করেই জীবন জীবিকা নির্বাহ করি। আমাদের জমির পানি নিষ্কাশনের কালভাট ও নালা আজিজুল হাকিম মন্ডল বন্ধ করে দিয়েছেন। এর ফলে আমরা জমিতে চাষাবাদ করতে পারছি না। আমরা ওনাকে অনেক বার কালভার্ট ও নালার মুখ খুলে দিতে অনুরোধ করেছি। কিন্তু ওনি আমাদের অনুরোধেও কালভাট ও নালার মুখ খুলে দেন নি।তাই আমরা তার বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও কৃষি কর্মকর্তার নিকট লিখিত অভিযোগ করেছি। কালভার্ট ও নালা বন্ধ করে পানি প্রবাহ বন্ধ করার বিষয়ে সদর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান হারুন-অর-রশীদ হারুন বলেন,বিষয়টি আমি জানি। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা পেলে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার মাহবুবুর রশীদ জানান, অভিযোগের প্রেক্ষিতে আমরা সরেজমিন পরিদর্শন করে কালভার্ট ও নালা বন্ধ করে কৃষি জমির পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ করার সত্যতা পেয়েছি। ইতিমধ্যেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের মৌখিকভাবে জানানো হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনে লিখিত ভাবে জানানোর কাজ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
আলোকিত প্রতিদিন/৩১ জুলাই ২০২১/ আর এম