নিজেস্ব প্রতিবেদক :
গাজীপুর সিটির ৩৫ নং ওয়ার্ডে পতিত একটি জমিতে বছরে নয় মাস পানি জমে থাকে। জনগনের চলাচলের রাস্তা গুলোর করুন দশা হয়ে যায়। স্বাভাবিক জীবন যাত্রা হচ্ছে ব্যহত। জায়গাটি গাজীপুর জেলার কামাজুড়ি স্কুল রোডের বাদে কালমেশ্ব মধ্য পাড়ায় অবস্থিত। গাছা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান হাজী মাঈনুদ্দিন চেয়ারম্যান সাহেবের পতিত জমি এটি। এই জমির পাশ দিয়ে উত্তর দক্ষিণে সোজা একটা রাস্তা চলে গিয়েছে ভূষির মিলের দিকে। কিন্তু অতি দু:খের সাথে জানাতে হচ্ছে সাহেরা এন্টারপ্রাইজ নামক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এই রাস্তাটি নির্মাণর জন্য টেন্ডার পান গত ২৪ মার্চ ২০১৩ ইং সালে। এই রাস্তাটি বাস্তবায়নে ছিলেন জেলা পরিষদ গাজীপুর। রাস্তাটির ভিত্তি প্রস্তর ন্থাপন করেন জনাব জাহিদ আহসান রাসেল এম পি। সংসদ সদস্য গাজীপুর -১, সেই সময় সাহেরা এন্টারপ্রাইজ রাস্তাটির কাজ শেষ করে দু দিনের মধ্য দ্রুত সরে পড়েন। তারা কোন ড্রেনেজ লাইন না করে কোন রকম ৪ ফিট রাস্তায় ইটা বিছিয়ে আসে মঈনুদ্দিন চেয়ারম্যান সাহেবের কবরস্থান গলির অগ্রভাগ থেকে শুরু করে সাইফুদ্দিন উকিল সাহেবের বাড়ির সামনে দিয়ে,জনাব আব্দুস সালাম সাহেবের বাড়ির সীমানা পর্যন্ত। কিন্তু নাম ফলকে স্পষ্ট উল্লেখ আছে যে, মাঈনুদ্দিন চেয়ারম্যানের কবরস্থান হইতে উত্তর দিকে ভূষির মিল রাস্তায় সংযোগ সলিং কাজের বিবরণ। কিন্তু সাহেরা এন্টারপ্রাইজ ভূষির মিল পর্যন্ত রাস্তা না করে সালাম সাহেবের সিমানা পর্যন্ত কাজ শেষ করে উক্ত স্থান ত্যাগ করেন। যার ফলে এই জমির সাথে এবং আসে পাশের জনগন চলাচলের যে রাস্তা গুলো আছে তার করুণ দষা হয়ে যায়। জল আটকিয়ে থাকে এলাকার বাড়ি ঘরের ময়লা পানি দিয়ে, ও সামান্য বৃষ্টি হলেই। স্কুলগামী শিক্ষর্থী সহ এলাকার বয়স্ক মানুষ ও অসুস্থ রোগীরা এখান দিয়ে চলাচল করতে পারেনা। কোমলমতি ছাত্রছাত্রীরা স্কুলে যাওয়া সহ এলাকার রেমিটেন্স যোদ্ধা গার্মেন্টস কর্মীরা এবং অসুস্থ রোগীরা এই পতিত জমির পাশ দিয়ে যে রাস্তাটি উত্তর দক্ষিণে সেটি দিয়ে জলের কারনে চলাচল করতে পারেনা। এই জমি মৃত হাজী মাঈনুদ্দিন সাবেক চেয়ারম্যান গাছা ইউনিয়ন) এর পুত্র দয় দেখা শুনা করে থাকেন বলে জানা গেছে। জমিওয়ালাদের কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন আমার বাবার রেখে যাওয়া এই পতিত জমিটি তেমন কোন কাজে আসেনা। তা ছাড়া এখানে আমাদের বাড়ি ঘর নেই। আমাদের বাড়ি ঘরের রাস্তা কামার জুড়ি মেইন রোড়। তাই আমরা এখানে কিছু করার চিন্তা করিনা, আর করার দরকার পড়েনা। আমাদের অডেল সম্পত্তি পড়ে আছে এখানে সেখানে। খেতের পাশে আইল নেই কেন, আমাদের প্রতিনিধি জানতে চাইলে মঈনুদ্দিন চেয়ারম্যান সাহেবের ছোট ছেলে কামরুজ্জামান কথা বলতে রাজি হননি এবং অন্য ভাইদের তাৎক্ষনিক খুজে পাওয়া যায়নি।
আলোকিত প্রতিদিন/১আগস্ট-২১/এইচ
