সারিয়াকান্দিতে থামেনি অবৈধ বালু ব্যবসায়ীদের তৎপরতা

0
334

প্রতিনিধি, বগুড়াঃ
বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে করোনার কারনে সবকিছু স্থবির হয়ে পরলেও বন্ধ হয়নি অবৈধ বালু ব্যবসায়ীদের বালু ব্যবসা। দিন-রাত সমান তালে চলছে বালু ব্যবসায়ীদের তৎপরতা। অবৈধ বালু ব্যবসায় ১০ চাকার ট্রাকে বালু পরিবহনের কারনে রাস্তা-ঘাট চলাচলের অনুপোযোগী হয়ে পরছে। উপজেলা প্রশাসন কর্মকর্তাদের কোভিড-১৯ এর কারনে ভিন্ন রকম তৎপরতায় ব্যস্ত থাকায় বালু ব্যবসায়ীরা বর্তমানে সরব হওয়ার কথা জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সারিয়াকান্দি উপজেলায় যমুনা নদী প্রবাহমান। নদীটির বিভিন্ন স্থান থেকে একাধিক ড্রেজার মেশিন বসিয়ে অবৈধ বালু ব্যবসায়ীরা যমুনা নদীর ডান তীরের বিভিন্ন স্থানে পাহাড় সমান বালুর স্তুপ করেছেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, যমুনা নদীর ডান তীরে কমপক্ষে ৬টি স্থানে এই পাহাড় সমপরিমান বালুর স্তুপ রয়েছে। প্রতিদিন দূর দূরান্ত থেকে মানুষের সৃষ্টি বালুর পাহাড় দেখার জন্য বহু লোকের সমাগম হয়। নদী থেকে অপরিকল্পিতভাবে বালু তোলার জন্য একদিকে যেমন ভাঙ্গনের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে অন্যদিকে বিভিন্ন সময় নদীর তীর রক্ষার জন্য বিভিন্ন স্থাপনা হুমকির সম্মুখীন হয়ে পরেছে। প্রতিদিন এখান থেকে বড় ট্রাকে করে দেশের বিভিন্ন স্থানে বালু পাঠানো হয়। ফলে প্রধান প্রধান সড়কের বিভিন্ন স্থানে খানাখন্দ সৃষ্টি হয়েছে। এরফলে  এসব সড়কে যাত্রীবাহী বিভিন্ন যানবাহন দুর্ঘটনার কবলে পরছে।
সারিয়াকান্দি উপজেলার গুটি কয়েক ব্যক্তি এসব অবৈধ বালু ব্যবসার সাথে যুক্ত হয়েছেন। বালু ব্যবসায় জড়িত গুটি কয়েক ব্যক্তি আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ হলেও স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা অনেকটা দেখেই না দেখার ভান করে চলেছেন। এ ব্যাপারে সারিয়াকান্দি পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুল ইসলাম (পটল) বলেন, ঈদ গাঁ মাঠ, মসজিদ, মন্দিরের মাটি ভরাট করতে গেলে প্রশাসনের তরফ থেকে মেশিন দিয়ে বালু তোলা যাবেনা বলে বার বার নিষেধ করা হলেও ড্রেজার মেশিন বসিয়ে পাহাড় সম পরিমাণ বালু স্তুপ করে পরে তা বিক্রি করা হলেও প্রশাসনের কারো কেন নজরে আসেনা তা আমার বোধগম্য নয়। এছাড়াও যমুনা নদী থেকে অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলন ও পরিবহণের কারনে পরিবেশ ও রাস্তাঘাটের যে বিপর্যয় হচ্ছে তাতে প্রশাসনের নজর দেয়া দরকার। অবৈধ বালু ব্যবসায় জড়িত উপজেলার চন্দনবাইশা ইউপি চেয়ারম্যান মো: শাহাদত হোসেন (দুলাল) এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি কোন অবৈধ বালু ব্যবসার সাথে জড়িত নই। যারা জড়িত আপনারা তাদেরকে বলুন। আমার এখানে যে স্থানে বালুর স্তুপ করা হয়েছে সেটা আমার নিজস্ব সম্পত্তি। বালুর পয়েন্ট করার জন্য আমার প্রায় ৪০ বিঘা জমি ব্যবহার করা হয়েছে এখানে। এই জমির মাসিক ভাড়া বাবদ ১ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা পেয়ে থাকি আমি। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: রাসেল মিয়া বলেন, কোভিড-১৯ এর কারনে আমাদের কর্মতৎপরতা বৃদ্ধি পেয়েছে, এছাড়াও বন্যার কারনে প্রতিদিন ভিন্ন রকমের পরিস্থিতির মোকাবেলা করতে হচ্ছে।  এ সুবাদে হয়তবা বালু ব্যবসায়ীরা রাতের বেলায় বালু ব্যবসায় সরব হয়ে ওঠেন।

আলোকিত প্রতিদিন/ ১ আগস্ট ২০২১/ আর এম

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here