শরীয়তপুরে সরকারি খাদ্য গুদামের চাল সরবরাহ নিয়ে ধুম্রজাল

0
311

প্রতিনিধি, শরীয়তপুর:
শরীয়তপুরে সরকারি খাদ্য গুদামের চাল ওএমএসের ডিলারের নিকট সরবরাহ নিয়ে ধৃম্রজালের সৃষ্টি হয়েছে। সোমবার(২আগস্ট) দুপুর ১২ টার দিকে নছিমন ভর্তি ৪০ বস্তা(২০০কেজি) চাল নিয়ে রিপন নামক একজন  ড্রাইভার কোনো প্রকার ডিউ পত্র ছাড়াই যাচ্ছিল, সাংবাদিকদের সন্দেহ হলে রিপনকে জিগ্যেস করলে প্রথমে সে পৌরসভার চাল, মুদি দোকানের চাল বলে দাবি করলেও পরক্ষণে আবার বলে ওমএমএস ডিলার বীর মুক্তিযোদ্ধা জানে আলম মুন্সী, ইয়াকুব পাহাড়, ইউনুস আকনের চাল। ডিউ পত্র ডিলাররা নিয়ে আগে মোটর সাইকেল যোগে চলে গেছেন বলেও তিনি দাবি করেন। বিষয়টি সাথে সাথে শরীয়তপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও জেলা প্রসাশককে জানালে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মনদীপ ঘরাই খাদ্য গুদামে আসেন। খাদ্য গুদামের কর্মকর্তা দীলিপ কুমার সরকারের কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন, ডিউ পত্র সময় সংকটের কারণে ডিলাররা নিতে পারেননি। ডিলাররা কেন চালের গাড়ির সাথে ছিল না জানতে চাইলে তিনি টোকেন কাগজ দেখিয়ে বলেন, ডিলারদের প্রতিনিধিরা চাল নিচ্ছেন। প্রতিনিধিদের চাল নিতে হলে যে বিধি মোতাবেক নিতে হবে সে মতে চাল সরবরাহ করা হয়নি। এসময় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুচকি মুচকি হাসতে হাসতে বলেন, শুভংকরের ফাঁকি আছে। এ বিষয়ে বক্তব্যের জন্য জানে আলম মুন্সীর প্রতিনিধিকে জিগ্যেস করা হলে তিনি কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি। উল্লেখ্য তিনজন ডিলারের কেউ ডিউ পত্র নেননি আগে। এর মধ্যে ইউনুস আকনের ২০ বস্তা(১০০০ কেজি), জানে আলম মুন্সীর ১০ বস্তা(৫০০ কেজি) ও ইয়াকুব পাহাড়ের ১০ বস্তা(৫০০) কেজি। পরবর্তীতে খাদ্য গুদামের কর্মকর্তা দীলিপ কুমার সরকার অফিসে ডিলারদের ডিউ পত্র প্রসাশনকে দেখান। প্রত্যেক ডিলার একদিনে সব্বোর্চ ৫০০ কেজি চাল নিতে পারবেন কিন্তু ইউনুস আকন ১০০০ কেজি কীভাবে নিল জানতে চাইলে তিনি বলেন, করোনা কালীন গাড়ি সংকটের কারণে দুই দিনেরটা একসাথে নিয়েছেন তিনি। এ বিষয়ে আংগারিয়া খাদ্য গুদামের জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকতা নুরুল হক বলেন, এটা নিয়ে ছোট খাটো ত্রুটি হয়েছে। কিন্তু কোনো অনিয়ম, আত্মসাৎ বা আর্থিক ক্ষতির মত কোনো ঘটনা ঘটেনি। এই ছোট খাটো ত্রুটি যেন সামনে না হয় সেটা আমরা শতভাগ চেষ্টা করব। এ বিষয়ে শরীয়তপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মনদীপ ঘরাই বলেন, জেলা প্রশাসক স্যারের নির্দেশে এখানে সরেজমিনে ঘটনা দেখতে এসেছি এবং আমকে স্যারকে অবহিত করার জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে আসলে এখানে কী ঘটেছে। আমরা যেটা দেখেছি যে ডিলারদের সুবিদার জন্য একটা টোকেনের মাধ্যমে চাল দেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে, যেটা আইনে নাই। আমরা স্পষ্টভাবে বলে দিয়েছি এভাবে চাল বের করা যাবে না। আরেকটা বিষয় লক্ষ্য করেছি যে তিন চার জন ডিলারের চাল একসাথে নেওয়া হচ্ছে এতে করে বুঝা যাচ্ছে না যে কোন ডিলার কতটুকুন চাল নিয়েছে, এবিষয়ে আমরা তাদেরকে নিরুৎসাহিত করেছি। আমি চোখের সামনে যা দেখেছি সেটা জেলা প্রশাসক মহাদয়কে জানানো হবে।

আলোকিত প্রতিদিন/২ আগস্ট ২০২১/ দ ম দ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here