মহেশখালী প্রতিনিধি:
কক্সবাজারে অতি বৃষ্টি, পাহাড়ী ঢল ও সামুদ্রিক জোয়ারের ফলে প্রতিনিয়ত বাড়ছে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ। প্লাবিত হয়েছে ৫২৫ টি গ্রাম। বন্যার পানি নেমে যাবার পর দেখা দিয়েছে ভাঙন। সামনে আবারও পূর্ণিমার জোয়ার হওয়ার কারণে বেড়িবাঁধের ভাঙা অংশে কাজ শুরু করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। তবে এমন দায়সারা কাজের কারণে আরও ক্ষতি বাড়ছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। এমনই অভিযোগ ফাতেমা বেগমের। ফাতেমা বেগম বলেন, টেকসই বেড়িবাঁধ না হওয়ায় জোয়ারের পানির কারণে আমাদের ঘরবাড়ি ভেঙে গেছে। কর্তৃপক্ষ জিওব্যাগের জন্য বেড়িবাঁধ ঘেঁষে বালু উত্তোলনের কারণে বেড়িবাঁধের জিওব্যাগ ধসে পড়ছে প্রতিনিয়ত। এটাও ধসে পড়বে পানি আসলে। মোহাম্মদ আলী নামে একজন বলেন, ওনাদের বারবার বলা হয়েছে। এখান থেকে বালু না নিয়ে দূর থেকে বালি নেওয়ার জন্য। কিন্তু ওনারা শুনছে না। মহেশখালীতে সরজমিনে দেখা যায়, মাতারবাড়ী-ধলঘাটার বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে-উপচে জেয়ারের পানিতে শতাধিক ঘরবাড়ি ভেঙে গেছে। এসব ভাঙা অংশে কাজ না করে যেদিকে জিওব্যাগ আছে সেখানে জিওব্যাগের কাজ করছেন পানি উন্নয়ন বোর্ড। এসব জিওব্যাগে বালু ভর্তি করার জন্য মাতারবাড়ী-ধলঘাটার সমুদ্রসৈকত থেকে বেড়িবাঁধ ঘেঁষে বালু নিচ্ছেন তারা। এর কারণে বেড়িবাঁধ আরও ঝুঁকিতে পড়ছে। নিচের মাটি সরে গিয়ে যেকোন মুহূর্তে এটি ধসে পড়বে। ফলে পুরো বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে যাওয়ায় মাতারবাড়ী-ধলঘাটা বিলীন হয়ে যেতে পারে, অস্তিত্ব সংকটে পড়বে লক্ষাধিক মানুষ। ইতোমধ্যে অনেকে জন্মভূমি ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। পূর্বে এভাবে সংস্কারের কারণে বেড়িবাঁধ প্রতিনিয়ত ভাঙছে, পানি ধাক্কা লাগলে এগুলো সাগরে তলিয়ে যায় বলে স্থানীয়রা জানান। সহকারী অধ্যাপক সেলিম কুতুব উদ্দীন নেওয়াজ বলেন, এভাবে বেড়িবাঁধ ঘেঁষে বালু নেওয়ার কোন আইন নেয়। এর কারণে বেড়িবাঁধের ভাল অংশ ও ভেঙে যাবে। মাতারবাড়ী রক্ষার্থে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি। কক্সবাজার জেলা বাপা’র সাধারণ সম্পাদক কলিম উল্লাহ কলিম জানান, বালু দূর থেকে নেওয়ার কথা। কিন্তু ঠিকেদার কাছ থেকে নিচ্ছেন। এতে গর্ত ভাঙ্গনের কারণে বেড়িবাঁধ ধসে পড়বে। এসব লুটপাট বন্ধের জন্য আমরা সঠিক তদন্তের দাবি জানাচ্ছি। মহেশখালী উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমান শেয়ার বিজকে বলেন, এই বিষয়ে যথাযথ কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হবে। ঠিকেদার নজরুল বলেন , আমার কাজ চলতেছি কিনা দেখব। দায়িত্বরত ব্যক্তি যদি অনিয়ম করে তাহলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী প্রবীর কুমার গোস্বামীকে বারবার ফোন দেওয়া হলেও রিসিভ না করাই ওনার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয় নি।
আলোকিত প্রতিদিন/৩ আগস্ট ২০২১/ দ ম দ