মহেশখালীতে টানা বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা সঙ্গে পাহাড় ধস

0
289
প্রতিনিধি, মহেশখালী: 
টানা বৃষ্টিতে কক্সবাজারের মহেশখালীতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। প্রতিবছর নিম্নাঞ্চলগুলো প্লাবিত হলেও এবার উঁচু অঞ্চলও প্লাবিত হয়েছে। তার পাশাপাশি পাহাড় ধসের মতো ঘটনাও ঘটেছে। ইতোমধ্যে পাহাড় ধসে মৃত্যু হয়েছে দু’জনের।
সরেজমিনে আজ শুক্রবার উপজেলার বিভিন্ন জায়গা পরিদর্শন করে দেখা যায়, মাতারবাড়ী ও ধলঘাটা ইউনিয়নে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মূলত টেকসই বেড়িবাঁধ না থাকায় সাগরে জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পেয়ে লোকালয়ে প্রবেশ করে মানুষের ঘরবাড়িসহ অন্যান্য সম্পদ বিনষ্ট হয়েছে।
স্থানীয় ফাতেমা বেগম, আবুল কাশেমসহ কয়েকজন সিভয়েসকে জানান, প্রতি বছর নিয়মিত তাদের এলাকা প্লাবিত হয়। তারপরেও একটি টেকসই বেড়িবাঁধ স্থাপন করা হয়নি এখনো। অপরদিকে মহেশখালী পৌরসভার চরপাড়া, পুটিবিলা, ছোট মহেশখালীর মাইজপাড়া, জালিয়াপাড়া, কুতুবজোমের চরপাড়া, তাজিয়াকাটা, ঘটিভাঙ্গা, বড় মহেশখালীর ফকিরাঘোনা, জাগিরাঘোনা, হোয়ানক ও কালারমারছড়ার নিম্নাঞ্চলগুলো প্লাবিত হয়েছে। থেমে থেমে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে কোন অঞ্চল থেকে পানি নেমে যায়নি। এদিকে শাপলাপুর, হোয়ানক, কালারমারছড়ার বিভিন্ন জায়গায় পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটেছে। এতে করে মানুষের ঘরবাড়ি বিনষ্ট হয়েছে। আর মাটির দেয়াল পড়ে প্রায় ১৫টির মত কাঁচা বসতঘর নষ্ট হয়েছে বলে জানা গেছে। এছাড়াও পাহাড় ধসে শাপলাপুর অংশে মহেশখালীর দু’টি প্রধান সড়কের একটি সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। অপর সড়কের বিভিন্ন অংশ পাহাড়ি ঢলে বিধ্বস্ত হয়েছে। কক্সবাজার-২ (মহেশখালী-কুতুবদিয়ার) সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক সিভয়েসকে বলেন, ‘ঝুঁকিপূর্ণ স্থান থেকে মানুষদের সরিয়ে আনা হয়েছে। তারা যেসব আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছেন সেখানে নিয়মিত খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে। তার পাশাপাশি খাদ্য সহায়তা কার্যক্রম চলমান আছে। এছাড়াও দ্রুত টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ ও সংস্কার করা হবে।’ মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মাহফুজুর রহমান বলেন, ভারী বৃষ্টি শুরু হলে পাহাড়ের পাদদেশে, পাহাড়ের উপরে এবং পাহাড় ঘেঁষে যারা বসত ঘর নির্মাণ করেছে তাদের সরে যাওয়ার জন্য মাইকিংসহ বিভিন্নভাবে প্রচারণা চালানো হয়েছিল। এছাড়াও উপজেলা প্রশাসন বিভিন্ন জায়গায় সরাসরি গিয়ে মানুষদের নিরাপদ স্থানে নিয়ে আসে। চলমান প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় প্রশাসন সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে।
আলোকিত প্রতিদিন/৪ আগস্ট ২০২১/ দ ম দ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here