বিনোদন ডেস্ক:
অভিনেতা ও চলচ্চিত্রপ্রেমী এবিএম সোহেল রশিদ প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিক, সর্বস্তরের মিডিয়া কর্মী সতীর্থ ও চলচ্চিত্রপ্রেমীদের ভালোবাসা জানিয়ে বলেন- চলচ্চিত্রের দুঃসময় চলছে এটা আমরা ও আপনারা ভালো ভাবেই জানি। সমাজে যে নৈতিকতার অবক্ষয় চলছে, এ থেকে চলচ্চিত্র বাদ পড়েনি। আমরা এ সমাজেরই অংশ। বর্তমান পরিস্থিতি ঘোলাটে করে, নৈতিকতার কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে শবযাত্রার আয়োজনের দিকে আমরা যাচ্ছি। আমরা অনেকেই ( সবাই নয়) চিত্রনাট্যের বাইরে খুব একটা চৌকস নই। সংলাপের মত অনেক কিছুই আবেগে ক্ষোভে বলে ফেলেছি। এটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। চলচ্চিত্রের একমাত্র মুখপাত্র সাংবাদিক ভাইয়েরা। আমাদেরকে তারকা ইমেজ গড়ে তুলতে, ভুল ত্রুটি শোধরে নিতে, নতুন শিল্পীদের সাথে দর্শকদের যোগসূত্র তৈরি করতে এবং সর্বোপরি আমাদের সৃষ্টিকর্মের প্রচার প্রচারণায় ভূমিকা রাখেন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সংবাদ কর্মীরা। এটি সর্বজন স্বীকৃত। তাই অনুরোধ, কে কি বললো তাতে ক্ষুব্ধ না হয়ে, বরাবরের মতো পাশে দাঁড়ান। চলচ্চিত্র শিল্পটাকে বাঁচান। এই পেন্ডামিক দুঃসময়ে অনেকেরই মন ও মনন ঠিক মতো কাজ করছে না। মানসিক অস্থিরতায় অসচেতন ভাবে ভুলভাল বকে ফেলছি। আবার আমাদের অনেকে চায় সহজসরলভাবে কিছু বলে মনের ক্রোধ দূর করতে। চলচ্চিত্রের মন্দা, পুঁজি আটকে থাকা, সিনেমা হলের শূন্যতা, বেকার জীবন, অর্থনৈতিক টানাপোড়েন, করোনা ও বর্তামান পরিস্থিতি আমাদের মানসিক ভারসাম্য নড়বড়ে করে দিয়েছে। উদ্ভূত পরিস্থিতির চাপে আমাদের অনেকের ইচ্ছা-অনিচ্ছাজনিত ভুলগুলোর জন্য বিনীত ভাবে মার্জনা চাচ্ছি। দেশের প্রচলিত আইনের আওতায় তদন্ত ও বিচারের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার আগেই যেন আমরা জনতার আদালতে শাস্তি না পাই বিষয়টি বিবেচনা করবেন। আমাদের পাশে থাকুন, উত্তরণের জন্য সুপরামর্শ ও করণীয় পথ দেখান। আপনার কলম ও মাইক্রোফোন দিয়ে আমাদের সহযোগিতা করুন। আমাদের দুঃসময়ে গুটিকয়েক অবোধের জন্য আমাদের একঘরে করে ফেলবন না। অতীত ইতিহাস থেকে জানা যায় ভুল ত্রুটি শুধরে অনেকেই অনুকরণীয় হয়ে দেশ ও জাতির সেবা করেছে। যারা পারেনি তারা আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হয়েছে। আপনারা পাশে থাকলে সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আবার সুদিন ফিরে আসবে। এটি বিশ্বাস করার শক্তি ও সাহস যেন স্রষ্টা আমাদের দেন। এটাই এমুহূর্তের কামনা। সবার জন্য শুভ কামনা।
আলোকিত প্রতিদিন/৬ আগস্ট ২০২১/ দ ম দ