প্রতিনিধি, ফুলবাড়ী (কুড়িগ্রাম):
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার শাহবাজার হতে পশ্চিম ধনিরাম পর্যন্ত ৩ হাজার ৪শ’ মিটার সড়কের সংস্কার কাজে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ তুলেছে এলাকাবাসী। জুনের মাঝামাঝি কয়েকটি জাতীয় পত্রিকায় কাজে অনিয়মের সংবাদ প্রকাশিত হলে সে সময় সংস্কার কাজ বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। কিন্তু অদৃশ্য কারণে কোন ব্যবস্থা না নিয়ে আবারো সংস্কার কাজের অনুমতি দেয় উপজেলা প্রকৌশল অফিস।৩ আগস্ট সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ সত্ত্বেও কার্পেটিং কাজ শুরু করেছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কুড়িগ্রামের মেসার্স ফাহিম ট্রেডার্স। সড়কের সংস্কার কাজ নিম্নমানের হওয়ায় হতাশ এলাকাবাসী।
জানা গেছে, সড়কটির স্থায়ীত্ব বিবেচনায় নানা কর্মপরিকল্পনা গ্রহন করে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। সড়কে মাটি ভরাট, স্লিপিং, পাইলিং, ব্লকিং এবং কার্পেটিং কাজের জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ১ কোটি ৬৩ লক্ষ ৪৭ হাজার ১৫৬ টাকা। সড়কের সংস্কার কাজে কি কি অনিয়ম হচ্ছে জানতে চাইলে এলাকাবাসী জানান, সড়কের স্লিপিং ঠিকমত করা হয়নি। রাস্তায় নিম্নমানের ইট ও খোয়া ফেলা হয়েছে। সড়কের দু’পাশে ৩ ফুট মাটি ফেলে ভরাট করার কথা থাকলেও তা করা হয়নি। অনেক যায়গায় সড়কের গোড়ার মাটি কেটে উপড়ে ফেলা হয়েছে। মাটি নিয়মমত ঢালু না করায় বৃষ্টির পানিতে সড়কটি ভেঙ্গে যাওয়ার আশংকা করছে স্থানীয়রা। পশ্চিম ধনীরাম বাঘের বাজার এলাকার আসাদুল (৩৫) জানান, সড়ক রোলিং করার জন্য একেবারেই কম ওজনের রোলার ব্যবহার করা হয়েছে। ফলে খোয়া ফেলে রোলিং শেষ করার পরপরই আলগা হয়ে খোয়া উঠে যাচ্ছে। এর উপরে কার্পেটিং করা হলে সড়কটি দ্রুত নষ্ট হয়ে যাবে বলে আশংকা এলাকাবাসীর। সংস্কার কাজে সড়কের পুরাতন ৩ ইঞ্চি খোয়া ফেলে রোলিং করার পর বালু ফিলিং করে নতুন খোয়া ৩ ইঞ্চি ফেলে আবার রোলিং করার নিয়ম থাকলেও শুধু একবারই রোলিং করা হয়েছে বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। এ বিষয়ে বড়ভিটা ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ সহ-সভাপতি আঃ মান্নান বলেন, শাহবাজার থেকে গেটেরবাজার পর্যন্ত নতুন খোয়া ফেললেও গেটের বাজার হতে আবাসন পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার সড়কে নতুন খোয়া ফেলা হয়নি। একই অভিযোগ করেন স্থানীয় বাসিন্দা আজম আলী (৬৫)। পশ্চিম ধনীরামের এরশাদুল হক (৪৫) জানান, গেটেরবাজার থেকে আবাসন পর্যন্ত নতুন খোয়া না ফেলার বিষয়ে ঠিকাদারের ম্যানেজারের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, এদিকে অনেক পুরাতন খোয়া আছে তাই নতুন খোয়া দেয়া হয়নি। সরেজমিন ঘুরে দেখাগেছে নদী, পুকুর, নালা ও ডোবার ধারে বেশকিছু জায়গায় আরসিসি ব্লক দিয়ে পাইলিং করা হয়েছে। এই আরসিসি ব্লকগুলোও অত্যন্ত নিম্নমানের বলে অফিযোগ এলাকাবাসীর। স্থানীয়রা জানান, ৩ আগস্ট দুপুরে উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী কার্পেটিং কাজ দেখতে বাঘেরবাজার এলাকায় আসলে তার উপস্থিতিতে সড়কের দুই স্থানে গর্ত করে স্থানীয়রা। এতে বেড়িয়ে আসে নিম্নমানের পুরাতন খোয়া। রাস্তায় খোয়ার পুরুত্ব কমপক্ষে ৬ ইঞ্চি থাকার নিয়ম থাকলেও তা অনেকটাই কম পাওয়া গেছে। উপস্থিত এলাকাবাসী বিষয়টি নজরে এনে এ বিষয়ে জানতে চাইলে কোন জবাব না দিয়ে দ্রুত স্থান ত্যাগ করেন ওই প্রকৌশলী।
জানা গেছে, সড়কটির স্থায়ীত্ব বিবেচনায় নানা কর্মপরিকল্পনা গ্রহন করে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। সড়কে মাটি ভরাট, স্লিপিং, পাইলিং, ব্লকিং এবং কার্পেটিং কাজের জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ১ কোটি ৬৩ লক্ষ ৪৭ হাজার ১৫৬ টাকা। সড়কের সংস্কার কাজে কি কি অনিয়ম হচ্ছে জানতে চাইলে এলাকাবাসী জানান, সড়কের স্লিপিং ঠিকমত করা হয়নি। রাস্তায় নিম্নমানের ইট ও খোয়া ফেলা হয়েছে। সড়কের দু’পাশে ৩ ফুট মাটি ফেলে ভরাট করার কথা থাকলেও তা করা হয়নি। অনেক যায়গায় সড়কের গোড়ার মাটি কেটে উপড়ে ফেলা হয়েছে। মাটি নিয়মমত ঢালু না করায় বৃষ্টির পানিতে সড়কটি ভেঙ্গে যাওয়ার আশংকা করছে স্থানীয়রা। পশ্চিম ধনীরাম বাঘের বাজার এলাকার আসাদুল (৩৫) জানান, সড়ক রোলিং করার জন্য একেবারেই কম ওজনের রোলার ব্যবহার করা হয়েছে। ফলে খোয়া ফেলে রোলিং শেষ করার পরপরই আলগা হয়ে খোয়া উঠে যাচ্ছে। এর উপরে কার্পেটিং করা হলে সড়কটি দ্রুত নষ্ট হয়ে যাবে বলে আশংকা এলাকাবাসীর। সংস্কার কাজে সড়কের পুরাতন ৩ ইঞ্চি খোয়া ফেলে রোলিং করার পর বালু ফিলিং করে নতুন খোয়া ৩ ইঞ্চি ফেলে আবার রোলিং করার নিয়ম থাকলেও শুধু একবারই রোলিং করা হয়েছে বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। এ বিষয়ে বড়ভিটা ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ সহ-সভাপতি আঃ মান্নান বলেন, শাহবাজার থেকে গেটেরবাজার পর্যন্ত নতুন খোয়া ফেললেও গেটের বাজার হতে আবাসন পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার সড়কে নতুন খোয়া ফেলা হয়নি। একই অভিযোগ করেন স্থানীয় বাসিন্দা আজম আলী (৬৫)। পশ্চিম ধনীরামের এরশাদুল হক (৪৫) জানান, গেটেরবাজার থেকে আবাসন পর্যন্ত নতুন খোয়া না ফেলার বিষয়ে ঠিকাদারের ম্যানেজারের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, এদিকে অনেক পুরাতন খোয়া আছে তাই নতুন খোয়া দেয়া হয়নি। সরেজমিন ঘুরে দেখাগেছে নদী, পুকুর, নালা ও ডোবার ধারে বেশকিছু জায়গায় আরসিসি ব্লক দিয়ে পাইলিং করা হয়েছে। এই আরসিসি ব্লকগুলোও অত্যন্ত নিম্নমানের বলে অফিযোগ এলাকাবাসীর। স্থানীয়রা জানান, ৩ আগস্ট দুপুরে উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী কার্পেটিং কাজ দেখতে বাঘেরবাজার এলাকায় আসলে তার উপস্থিতিতে সড়কের দুই স্থানে গর্ত করে স্থানীয়রা। এতে বেড়িয়ে আসে নিম্নমানের পুরাতন খোয়া। রাস্তায় খোয়ার পুরুত্ব কমপক্ষে ৬ ইঞ্চি থাকার নিয়ম থাকলেও তা অনেকটাই কম পাওয়া গেছে। উপস্থিত এলাকাবাসী বিষয়টি নজরে এনে এ বিষয়ে জানতে চাইলে কোন জবাব না দিয়ে দ্রুত স্থান ত্যাগ করেন ওই প্রকৌশলী।
মোট কথা সড়কের সংস্কার কাজে পরতে পরতে অনিয়ম। এলাকাবাসীর অভিযোগ, বেশ কয়েকবার কাজের অনিয়মের অভিযোগ তুলে কাজ বন্ধ করতে বলেছি। কিন্তু ঠিকাদারের লোকজন আমাদের কোন কথা কানেই তোলেনি। সড়কের সংস্কার কাজে অনিয়মের বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী আসিফ ইকবাল রাজিব বলেন, সড়কটির সংস্কার কাজে যে ত্রুটিগুলো আছে তা যথাসময়ে পূরণ করা হবে।
আলোকিত প্রতিদিন/৭ আগস্ট ২০২১/ দ ম দ