হাসান আহমেদ, বরিশাল:
লকডাউনের মধ্যে গত শুক্রবার থেকে সারা দেশের সাথে বরিশাল সেক্টরেও স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করে আকাশ পরিবহন শুরু হলেও সরকারী এয়ারলাইন্সটির ঘোষনা আর বাস্তবে ফ্লাইট পরিচালনা নিয়ে জনমনে বিভ্রান্তির সাথে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। গত শুক্রবার থেকে রাষ্ট্রীয় বিমান বরিশাল সেক্টরে ১টি ফ্লাইটের পাশাপাশি বেসরকারী ইউএসবাংলা ৪টি এবং নভো এয়ার ২টি ফ্লাইট পরিচালন শুরু করে।
দীর্ঘ লকডাউনে আটকেপড়া বিপুল সংখ্যক মানুষ প্রতিদিন এসব ফ্লাইটে ঢাকা-বরিশালে যাতায়তও করছেন। বেসরকারী দুটি এয়ারলাইন্স বরিশাল ঢাকা ৬৭ এ্যারোনটিক্যল মাইলের আকাশ পথে ৩ হাজার ৪শ টাকা থেকে শুরু করে ৯ হাজার টাকায়ও টিকেট বিক্রী করছে। সাধারন মানুষ অনেকটা নিরুপায় হয়েই অনেক অযৌক্তিক ভাড়াও আকাশপথে বেসরকারী এয়ালাইন্সে যাতায়াত করতে বাধ্য হচ্ছেন বলে জানিয়েছেন।
অথচ গত শুক্রবারই বিমান বাংলাদেশ-এর গনসংযোগ বিভাগের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে শণিবার থেকে বরিশাল সহ আরো কয়েকটি সেক্টরে প্রতিদিন দুটিকরে ফ্লাইট পরিচালন-এর কথা জানান হলেও বাস্তবে তা কার্যকর হয়নি। বিমান-এর ঐ প্রেস বিজ্ঞপ্তি বিভিন্ন গনমাধ্যমেও প্রকাশিত হয়েছে। তবে সংস্থাটির বরিশাল সেলস অফিস বিষয়টি নিয়ে কিছু বলতে পারেনি। অথচ যাত্রীরা এ নিয়ে বিভিন্ন ট্রাভেল এজেন্সী ও বিমান-এর সেলস অফিসেও যোগাযোগ করছেন। তবে কারো কাছেই কোন জবাব নেই। অনেক যাত্রীই বিমান-এর এধরনের কর্মকান্ডে ক্ষুদ্ধ হয়ে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন। এমনকি যেখানে দুটি বেসরকারী এয়ারলাইন্স বরিশাল সেক্টরে প্রতিদিন ৫-৬টি ফ্লাইট পরিচালন করছে, সেখানে কথিত যাত্রীর অভাবে সোমবার বিমান তার একমাত্র ফ্লাইটটি বাতিল করেছে।
উড়োজাহাজ সংকট ও করোনা মহামারীর কারণে দীর্ঘদিন বন্ধের পরে গত ২৬ মার্চ থেকে সারাদেশের সাথে বরিশাল সেক্টরেও বিমান ফ্লাইট পরিচালন শুরু করেলেও তার সময়সূচী নিয়ে গত কয়েকমাসে অনেক অদল বদলের কারণেও যাত্রীদের মধ্যে হতাশা কাজ করছে। অথচ রাষ্ট্রীয় বিমান-এর ভাড়া বেসরকারী এয়ারলাইন্স গুলোর তুলনায় কম।
আলোকিত প্রতিদিন/ ৯ আগস্ট, ২০২১/ দ ম দ