প্রতিনিধি, কিশোরগঞ্জ:
বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করেও শেষ রক্ষা হলোনা ৫ মাদক ব্যবসায়ীর। জানা যায়, বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন কখনো কাঠালের ভিতর, স্কুল ব্যাগ, মোটর সাইকেলের সিটের নিচে লুকিয়ে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে চালান করত বিভিন্ন ধরনের মাদক। কিন্তু শেষ পর্যন্ত র্যাবের কাছে আটক হয়েছেন পাঁচ মাদক ব্যবসায়ী। র্যাব-১৪, সিপিসি-৩ ভৈরব ক্যাম্পের একটি দল মঙ্গলবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জে পৃথক দুটি অভিযান চালিয়ে ১৭ কেজি গাঁজাসহ পাঁচ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে।
র্যাব সূত্রে জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার সকাল সোয়া ৭টার দিকে র্যাবের একটি দল আশুগঞ্জ গোলচত্বর সংলগ্ন যাত্রী ছাউনির সামনে পাকা রাস্তার ওপর অভিযান চালায় র্যাব। এ সময় চার মাদক ব্যবসায়ীকে গেফতার করা হয়। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় সাড়ে ১৩ কেজি গাঁজা। এগুলো স্কুল ব্যাগ ও কাঁঠালের ভিতরে অভিনব কায়দায় লুকিয়ে রাখা হয়েছিল। গ্রেফতার চারজন হলেন নেত্রকোণা জেলার মোহনগঞ্জ উপজেলার পানুর গ্রামের মৃত এখলাছ মিয়ার ছেলে মানিক মিয়া (২৮), বিরামপুর (দাসপাড়া) গ্রামের কাচু চন্দ্র সাহার ছেলে চন্দন কুমার সাহা (৩৪), কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার গনেরগাঁও চন্তিপাড়া গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে আলী আকবর (২৪) ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ উপজেলার আন্দিদিল গ্রামের হুমায়ুন মিয়ার ছেলে আমিন (৩২)। পরে সকাল সোয়া ৮টার দিকে আশুগঞ্জের সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুর টোলপ্লাজার প্রায় ২০০ গজ পূর্বদিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ঢাকাগামী লেনের ওপর অভিযান চালায় র্যাব। এ সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার কুইয়া পানিয়া গ্রামের আব্দুর রউফ মিয়ার ছেলে আমির হোসেনকে (৩০) সাড়ে তিন কেজি গাঁজা ও একটি মোটর সাইকেলসহ গ্রেফতার করে। মোটরসাইকেলের সিটের নিচে অভিনব কায়দায় গাঁজাগুলো রাখা ছিল। র্যাবের কোম্পানী অধিনায়ক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিউদ্দীন মোহাম্মদ যোবায়ের জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা দীর্ঘদিন যাবত ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে চোরাচালানের মাধ্যমে গাঁজা এনে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করে আসছিল বলে স্বীকার করেছে। এ ব্যাপারে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন-২০১৮ অনুযায়ী আশুগঞ্জ থানায় মামলা দিয়ে তাদেরকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
আলোকিত প্রতিদিন/ ১০ আগস্ট, ২০২১/ দ ম দ