ইলিশের ভরা মৌসুমে ইলিশ মিলছে না নোয়াখালীর হাতিয়া ঘাটে: হতাশায় জেলে ও আড়ৎদার

0
312
প্রতিনিধি,নোয়াখালী:
নোয়াখালীর মেঘনা নদীর অববাহিকায় ও গভীর সমুদ্রেও ইলিশের অপ্রতুলতায় হতাশ হয়ে পড়ছেন মাছ ধরায় নিয়োজিত প্রায় ৬ হাজার জেলে মাঝি মাল্লারা। কোটি কোটি টাকা লগ্নি করা এখানকার আড়ৎদার ও মহাজনদের হতাশায় দিন গুণছেন। তাদের অপেক্ষা কবে ফিরবে ইলিশের বাড়ীতে ইলিশ? দীর্ঘ নিষেধাজ্ঞার পর ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা নিয়ে শত শত জেলে শত শত নৌ ট্রোলার নিয়ে নদী সাগরে গেলেও ফিরতে হচ্ছে খালি হাতে। এর মধ্যে কিছু কিছু ট্রোলারে ৫০/৬০টি ইলিশ নিয়ে ফিরলেও বাকীরা ফিরছে খালি হাতে। তার উপর লকডাউন থাকায় দূর-দূরান্তের পাইকাররা ঘাটে আসতে না পারায় দামও মিলছে না। যদিও জেলেদের সাথে কথা বলে জানা যায়, নদী সাগরে মাছ ধরতে গিয়ে আগে জলদস্যুদের মুখে পড়তে হত। কিন্তু বিগত কয়েকবছর যাবৎ এখানকার সাবেক সংসদ সদস্য ও হাতিয়া উপজেলা আঃলীগের সভাপতি  মোহাম্মদ আলীর ঐকান্তিক প্রচেষ্টা ও নৌ পুলিশ কোস্টগার্ডের সমন্বিত পদক্ষেপের ফলে জলদস্যুতা প্রায় শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা গেছে।কি কারণে কাঙ্খিত ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে না সেটা তাদের বোধগম্য নয় বলে জানান এ প্রতিবেদককে। এ বিষয়ে হাতিয়া মৎস্য সমবায় সমিতি লিঃ সভাপতি ও ফারিয়া এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মোঃ আখতার হোসাইন বলেন,মেঘনা নদীর অববাহিকায় তলদেশ ভরাট হয়ে যাওয়ার কারণে গভীরতা কমে যাওয়ায় এখন আর তেমন ইলিশ আসে না। এর জন্য তিনি ইলিশের অভয়ারণ্যে নিশ্চিত কল্পে নদী ড্রেজিংয়ের উপর জোর দেন। এ বিষয়ে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ নির্বাহী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। নদীর নাব্যতার পাশাপাশি নদীর তীর রক্ষা করার জন্য বাংলাদেশ সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ও পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীমের দেয়া অঙ্গীকারের দ্রুত বাস্তবায়ন দেখতে চান আখতার হোসাইন। অবশ্য ইতোমধ্যে ঘাট সংলগ্ন এলাকায় একটি আধুনিক নান্দনিক স্হাপত্যে একটি মৎস্য মার্কেট নির্মাণ করে দেওয়া হয় স্হানীয় সাংসদ আয়েশা আলীর সহযোগিতায়। পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন একই ছাদের নীচে সকল প্রকারের মাছ ক্রেতা বিক্রেতাকে আকৃষ্ট করবে। যে কারণে নবনির্মিত এই মার্কেটটি জেলেদের জীবনমান উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন আখতার হোসাইন।
আলোকিত প্রতিদিন/ ১৩ আগস্ট, ২০২১/ দ ম দ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here