প্রতিনিধি, মুক্তাগাছা (ময়মনসিংহ):
ময়মনসিংহ থেকে জামালপুর যাওয়ার পথে স্বামীসহ স্বামীর বাড়ির লোকজন জোর পূর্বক ধরে নিয়ে আটক রেখে নির্যাতন। এক দিন পর উদ্ধার থানায় অভিযোগ দায়ের।
ঘটনাটি ঘটেছে ময়মনসিংহ-জামালপুর সড়কের মুক্তাগাছার চেচুয়া বাজারে মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭ টায়। অভিযোগকারী জামালপুর জেলার ইসলামপুর থানা মোড় এলাকার নুরুল ইসলামের কন্যা নূরুন্নাহার (২৫)। জানা যায়, তিন বছর পূর্বে দুল্লা ইউনিয়নের শ্রীরামবাড়ী এলাকার আব্দুল মান্নান প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে নূরুন্নাহারকে জামালপুর থেকে চেচুয়া বাজারে তাহার দোকানে জোর পূর্বক ভূয়া কাবিন মূলে বিয়ে করে। বিয়ের এক বছর পর থেকেই তাদের মধ্যে মনমালিন্যতা শুরু হয়। পরবর্তীতে নূরুন্নাহার জানতে পারে তার বিয়ের কাবিননামা ভূয়া। পরে জামালপুর পুনরায় ৫ লক্ষ টাকা বিয়ের কাবিন হয়। কিন্তু তাদের মধ্যে মনমালিন্যতা থাকায় বর্তমানে নূরুন্নাহার পিতার বাড়ী অবস্থান করছে। গত ১০/০৭/২০২১ ইং তারিখ ময়মনসিংহ থেকে জামালপুর যাওয়ার পথে চেচুয়া বাজার পৌছালে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে আব্দুল মান্নান ও তার ভাইসহ নিকট আত্মীয় স্বজনরা বাসষ্ট্যান্ড থেকে তাকে এবং তার সাথে থাকা ভাগ্নী বিথী (১৮) কে মারধর করে জোর করে উঠিয়ে নিয়ে আটক রেখে শারিরীক ও মানষিক নির্যাতন করে। তাদের সাথে থাকা মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে যায়। পরদিন সকালে বিথীর মা ও নূরুন্নাহারের বোন নূরেদা আক্তার মুক্তাগাছা থানা পুলিশকে অবহিত করলে পুলিশ ও ইউপি চেয়ারম্যান উদ্ধার করে। পরে নূরেদা আক্তারের সাথে নূরুন্নাহার ও বিথী জামালপুর চলে যায়। বৃহস্পতিবার মুক্তাগাছা প্রেসক্লাবে এসে সাংবাদিকদের অবহিত করে। পরে মুক্তাগাছা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। বিথীর মা নুরেদা জানায়, আব্দুল মান্নান ও নূরুন্নাহার তাদের স্বামী স্ত্রীর বিষয় থাকতে পারে। কিন্তু আমার মেয়ে বিথীকে কেন জোর করে নিয়ে নির্যাতন করা হলো আমি এর বিচার চাই।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত আব্দুল মান্নানের কাছে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে তিনি জানান, তাদেরকে মারধর করা হয়নি। নূরুন্নাহার আমার স্ত্রী তাকে আমি আমার বাড়িতে নিয়ে গিয়েছি। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করছে।
আলোকিত প্রতিদিন/ ১৩ আগস্ট, ২০২১/ দ ম দ
