প্রতিনিধি কিশোরগঞ্জ:
কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলার গোবিন্দপুর ইউনিয়নের ফঠিকখালি সেতুটি আজ দশ মাস যাবত ভাঙ্গা অবস্থায় পড়ে আছে।
গোবিন্দপুর ইউনিয়নের একটি গ্রাম লাকুহাটি সেই গ্রামের ফটিকখালি সেতুটিকে এই এলাকার দুঃখ বলা হয় বর্তমান সময়ে। জানা যায়, হোসেনপুর উপজেলার চারটি ইউনিয়ন গোবিন্দপুর,পুমদি,সিদলা ও জিনারী এর প্রায় লক্ষাধিক মানুষের জেলা শহরের সাথে এক মাত্র যোগাযোগের রাস্তা হাজিপুর হয়ে গোবিন্দপুর চৌরাস্তা থেকে লাকুহাটি হয়ে কিশোরগঞ্জ যেতে হয়। কিন্তু বিধিরাম লাকুহাটির মাঝ রাস্তায় পড়ে সেই ফটিক খালি ব্রীজ কিন্তু আজ প্রায় দম মাস অতিক্রম হয়ে গেল নতুন ব্রীজ করার জন্য পুরাতন ব্রীজটি ভাঙ্গা হয় বিকল্প হিসেবে চলাচলের জন্য দেওয়া হয় তিনটি বাঁশ দিয়ে বাঁশের সাকু যা দিয়ে সাধারণ কাছের মানুষ হয়ত পায়ে হেটে হয় পার হতে পারে কিন্তু জরুরী যাত্রী সেবা রুগীর গাড়ি বা এম্বুলেন্স নেওয়া আজ স্বপ্নের ব্যাপার হয়ে দাড়িয়েছে। কারণ বাঁশের সেতুটিও আজ বয়সের ভারে বিলীন। পুরাতন সেতুটি ভেঙ্গে যাওয়া নতুন সেতু নির্মান করার দায়িত্ব পেয়েছে একটি প্রভাবশালী ঠিকাদান কোম্পানি তাদেও কোন দায়িত্ববোধ দেখছেনা এলাকার ভোক্তভোগি জনগন। সেতুটি নিয়ে নেই সংশ্নিষ্ট কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠানের কোন তদারকি বা ঠিকাদারকে কোন চাপ যার জন্য ভোগান্তিতে পরতে হচ্ছে কয়েক লক্ষ মানুষের ।
এসব ভোক্তভোগি মানুষকে জরুরী চলাচলের জন্য অটোরিকশা ,মোটরসাইকেল সহ যান বাঁহনগুলো প্রাঁচ সাত কিলোমিটা রাস্তা অতিক্রম করে পাশ্ববর্তী নান্দাইল থানার তেলিয়া হয়ে কিশোরগঞ্জ জেলা শহরে যেতে হচ্ছে। যার ফলে অসুস্থ রোগী ,বৃদ্ধ মানুষ মহিলা ও শিশুরা চরম দুর্ভোগে পড়ছে। অসুস্থ রোগীদের যথাসময়ে হাসপাতালে নিতে না পারার কারনে পড়ত হচ্ছে চরম মৃত্যু ঝুঁকিতে। এলাকার সাধারণ মানুষের তাই কর্তৃপক্ষের কাছে জিজ্ঞাসা আপনাদের চোখ কী তাহলে প্রভাবশালীদের চাপে কালো কাপড়ে বাধা।
আলোকিত প্রতিদিন/ ১৪ আগস্ট ২০২১/ দ ম দ