প্রতিনিধি, মুক্তাগাছা (ময়মনসিংহ):
মুক্তাগাছার ঘোগা ইউনিয়নে স্বাভাবিক পানি প্রবাহ বন্ধ করে পুকুর খননে ঘোগাপাড়া, কাকিনাটি ও গড়বাড়ী এ তিনটি গ্রামের প্রায় শতাধিক কৃষকের ২’শ একর জমিতে রোপা আমন চাষে অনিশ্চতা দেখা দিয়েছে। এ নিয়ে কৃষকদের মাঝে হতাশা ও চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। এ ব্যাপারে কৃষকরা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মুক্তাগাছা বরাবরে অভিযোগ করলে তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পান। পরবর্তীতে পানি নিষ্কাশনের নাম মাত্র ব্যবস্থা করলেও বাস্তবে জলাবদ্ধতা নিরসন হচ্ছে না। এ ব্যাপারে রবিবার সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ঘোগাপাড়া, গড়বাড়ী ও কাকিনাটি গ্রামের প্রায় ৬০/৭০ জন কৃষক উপস্থিত হয়ে এ প্রতিবেদককে জানান অতিমাত্রায় বৃষ্টিপাতের কারনে এ জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। ঘোগাপাড়া গ্রামের আব্দুল মজিদ খান, গড়বাড়ী গ্রামের মোজাফফর ও মফেজ আলী, কাকিনাটি গ্রামের তুফান আলী ও রহমত আলী জানান, পুকুর খনন করে পানি নিষ্কাশনের স্বাভাবিক প্রবাহ বন্ধ করে দেওয়ায় তিনটি গ্রামের প্রায় ২’শ একর জমিতে তারা রোপা আমন ধানের চারা লাগাতে পারছেন না। এলাকার সোহরাব আলী ও কাজিমদ্দিন তাদের জমিতে পুকুর খনন কালে পানি নিষ্কাশনের নালা না রেখে অপরিকল্পিতভাবে খনন করায় এ জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। তারা জানান, আমরা এলাকাবাসী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) বরাবরে অভিযোগ করেছিলাম। সে প্রেক্ষিতে তদন্ত করে উপ-সহকারী কর্মকর্তা ঘোগাকে পানি প্রবাহের বিষয়টি উপস্থিত থেকে সমাধান করার নির্দেশ দেন। উপ-সহকারী (ভূমি) কর্মকর্তা একটি নালা খননের ব্যবস্থা না করে পুকুরের পাড় দিয়ে একটি পাইপ দিয়ে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। একদিনের বৃষ্টির পানি এ পাইপের মাধ্যমে নিষ্কাশন করতে এক মাস লেগে যাবে। সেখানে অতিবর্ষণে যে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে তার এক বছরেও নিষ্কাশন হওয়া সম্ভব নয়। সম্প্রতি অতি বর্ষণে এলাকার জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়ে অনেক বাড়ির ঘরের উঠানে পানি উঠে গেছে। জমিতে কোমড় পানি থাকায় রোপা আমনের চারা লাগানো কোন ভাবেই সম্ভব নয়। এমতাবস্থায়, কৃষকের স্বার্থে জরুরী ভিত্তিতে পানি নিষ্কাশনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে কৃষকের আমন ফসল আবাদ করার সুযোগ করে দেওয়ার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে এলাকার ভোক্তভোগী কৃষকরা।
আলোকিত প্রতিদিন/ ১৫ আগস্ট ২০২১/ দ ম দ
