আবু সায়েম, কক্সবাজারঃ
কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের টেকনাফ সদর বিটের সংরক্ষিত বনাঞ্চলে দেখা মিলেছে হাতির দল। ১৭ আগস্ট সকালে টেকনাফের মাইট পাড়া বনে এ হাতিদের দেখা মিলে। সেখানে বিচরণরত অবস্থায় দেড় থেকে দুই বছর বয়সের ২টি বাচ্চা হাতিসহ মোট ৪টি হাতির একটি পালও দেখা যায়। বনকর্মীরা জানিয়েছে, কয়েকদিনে বৃষ্টিতে জঙ্গলে পানি বাড়ার কারণে ২টি শাবকসহ ৪টি হাতির দল অপেক্ষাকৃত নিরাপদ এলাকার খোঁজে বেরিয়ে পড়ে। ওই দলে হাতির বাচ্চা আছে, তাই হাতিগুলো সুযোগ মতো উঁচু জায়গায় যাওয়ার চেষ্টা করছে। কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগ কর্মকর্তারা জানিয়েছে, গত ১ থেকে দেড় বছর সময়ের মধ্যে দক্ষিণ বন বিভাগের প্রায় প্রতিটি রেঞ্জেই বনকর্মীরা টহলদানকালে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন স্পটে এরূপ একাধিক বাচ্চাসহ হাতির পাল পর্যবেক্ষণ করেছে। তারা আরও নজর রেখেছে যাতে হাতিগুলো লোকালয়ে ঢুকতে না পারে সেদিকেও তারা খেয়াল রাখছে। এ ধরনের ঘটনা বন, বন্যপ্রাণী, জীববৈচিত্র্য ও পরিবেশ সংরক্ষণের ক্ষেত্রে একটি আশা জাগানো বিষয় হচ্ছে। বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ তাদের জরিপে দাবি করেছে, বাংলাদেশে বর্তমানে ২৭০ থেকে ৩২০টি হাতি আছে। এই হাতির ৭০ শতাংশই চট্টগ্রাম বিভাগের বিভিন্ন অংশে বসবাস করছে। এ সংস্থার হিসাবে সবচেয়ে বেশি হাতি আছে কক্সবাজার উত্তর ও দক্ষিণ বিভাগে। এদের সংখ্যা ৮২ থেকে ৮৩। কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির বলেন,বন্যপ্রাণীর আবাসস্থল উন্নয়নে বনবিভাগ নিরন্তর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এর ধারাবাহিকতায় অন্যান্য ক্যাটাগরির বনায়নের সাথে বন্যপ্রাণীর আবাসস্থল উন্নয়নে দেশীয় প্রজাতির চারা দ্বারা গত ২ বছরে ৭৮০ একর বনায়ন সৃজন করা হয়েছে এবং আগামী বছরে আরো এ ধরণের ২৫০ একর বনায়ন করা হবে। তিনি আরো বলেন,বনভূমিতে অবৈধ জবরদখল কারীদের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা অব্যাহত থাকবে। উচ্ছেদপূর্বক বন্যপ্রাণীর নিরাপদ আশ্রয়স্থল সংরক্ষণ করা হচ্ছে, যাতে বন্যপ্রাণীর অবাধ বিচরণ ও প্রজনন সুরক্ষিত করা যায়।সাম্প্রতিক সময়গুলোতে কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের আওতাধীন বিভিন্ন রেঞ্জে বাচ্চা হাতির বিচরণ দেখা গেছে যা বন্যপ্রাণীর প্রাচুর্য বৃদ্ধির একটি আশা জাগানিয়া বিষয়।
আলোকিত প্রতিদিন/ ১৮ আগস্ট ২০২১/ আর এম