প্রতিনিধি, মির্জাগঞ্জ (পটুয়াখালী):
পটুয়াখালী জেলার মির্জাগঞ্জ উপজেলার কাকরাবুনিয়া ইউনিয়ন এর ৪ নং ওয়ার্ড মকুমা গ্রামের ২ কিলোমিটার রাস্তার বেহালদশা। সংস্কারের অভাবে ভোগান্তিতে পড়েছে হাজার হাজার মানুষ। দেখার যেন কেউ নেই। জনপ্রতিনিধিদের আশার বানী শুনতে শুনতে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন ভুক্তভোগী এলাকাবাসী। দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না হওয়ায় চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রীসহ হাজার হাজার মানুষকে। মির্জাগঞ্জ উপজেলাধীন কাকরাবুনিয়া ইউনিয়নের মকুমা গ্রামের এক মাত্র জনগুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটি প্রায় দুই যুগ ধরে কোন উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি।
অত্র এলাকাবাসীর প্রায় ২ কিলোমিটার রাস্তাটির অবস্থা অত্যন্ত বেহালদশা। উপজেলার বিভিন্ন স্থানে যোগাযোগ খাতে উন্নয়নের বিপ্লব ঘটলেও কর্তৃপক্ষ নীরব থাকায় মকুমা গ্রামের রাস্তাটি দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না হওয়ায় চলাচলের জন্য একেবারে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, উপজেলার কাকরাবুনিয়া ইউনিয়নের মকুমা গ্রামে প্রায় তিন হাজার মানুষের বসবাস। মকুমা গ্রামের একমাত্র রাস্তাটি বছরের পর বছর সংস্কারের অভাবে অচল অবস্থায় পড়ে আছে। যেখানে যানবাহন চলাচল তো দুরের কথা, পায়ে হেঁটে চলাচল করাটাও কষ্টকর। এরপরও রাস্তা দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন বিভিন্ন পেশার মানুষ চলাচল করে । প্রায় সময়ই ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। এলাকাবাসীর একটাই দাবি রাস্তা সংস্কার চায় তারা।
মকুমা গ্রামের একাধিক বাসিন্দা অভিযোগ করে বলেন, তাদের গ্রামের এক মাত্র জনগুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটি প্রায় দুই যুগ ধরে উন্নয়নের কোন ছোঁয়া লাগেনি। সড়কটি সংস্কারের জন্য দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কাছে দাবি জানিয়ে এলেও কেউ তাদের দাবির প্রতি ভ্রুক্ষেপ করছে না। আর সড়কে চলাচল করতে গিয়ে দুর্ঘটনায় অনেক পথচারীর হাত-পা ভেঙে পঙ্গু হচ্ছে।
মকুমা গ্রামের শিক্ষক মোঃ মোকলেছুর রহমান জানান, প্রায় দুই যুগ ধরে অবহেলায় রাস্তাটি চলাচলের অনুপযোগি হয়ে থাকলেও জনপ্রতিনিধি বা এলজিডি কর্তৃপক্ষের কোনো মাথা ব্যথা নেই। আমরা দ্রুত রাস্তা সংস্কার চাই।
এলাকার কৃষকরা বলেন, আমাদের এই রাস্তা দিয়ে কৃষিপণ্য নিয়ে চলাচলের কোনো অবস্থা ই নেই। যার কারনে আমাদের উৎপাদিত ফসল বাজার জাত করতে পারি না। যার ফলে আমরা অনেক ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছি । আমাদের একটাই দাবি রাস্তাটি যেন দ্রুত সংস্কার করা হয়। উক্ত জনগুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটি দ্রুত মেরামত করা না হলে যে কোন সময় ঘটতে পারে বড় ধরণের দুর্ঘটনা।
মকুমা গ্রামের ইউপি সদস্য, সাইফুল ইসলাম হিরন বলেন, আমাদের ইউনিয়নের মধ্য এই রাস্তাটি বেশি গুরুত্বপূর্ণ কিন্তু এই রাস্তাটি সম্পূর্ণ ই চলাচলের অনুপযোগী । কয়েক শত হেক্টর জমির ফসল মকুমা গ্রামের এই রাস্তা দিয়ে কৃষকের ঘরে উঠে। রাস্তাটি সংস্কার না হওয়ায় সাধারণ মানুষ অনেক ভোগান্তিতে পড়ছে। অনতিবিলম্বে তিনি রাস্তা সংস্কারে দাবী জানান।
আলোকিত প্রতিদিন/ ১৮ আগস্ট ২০২১/ দ ম দ