টাঙ্গাইলে দেড় যুগের পরকীয়ার অবসান ঘটিয়ে চাচীকে বিয়ে করলেন আ’লীগ নেতা

0
684

প্রতিনিধি, টাঙ্গাইল:

দীর্ঘদিনের পরকীয়ার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে চাচার দুই সন্তানসহ স্কুল শিক্ষিকা চাচী রহিমা আক্তার রুমাকে (৩৫) বিয়ে করলেন বহুরিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শরীফুল ইসলাম। উপজেলার কালিদাস পানাউল্লাহপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিজের স্ত্রী সন্তান থাকতেও চাচার কাছ থেকে চাচীকে ভাগিয়ে নিয়ে দুই সন্তানসহ বিয়ে করায় বিষয়টি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। জানা যায়, ১৯৯৮ সালে উপজেলার কালিদাস পানাউল্লাহপাড়া গ্রামের রাইজ উদ্দিনের ছেলে ইমান আলীর সাথে নলুয়া মোল্লাপাড়া গ্রামের আমির মোল্লার মেয়ে রহিমা আক্তার রুমার বিয়ে হয়। বিয়ের কয়েক বছর পরই ভাসুরের ছেলে আওয়ামী লীগ নেতা শরিফুল ইসলামের সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন রহিমা। এর ফলে দিনদিন রহিমা ও তার স্বামী ইমান আলীর সাথে দূরত্ব সৃষ্টি হতে থাকে। এক পর্যায়ে বিষয়টি সারা গ্রামে ছড়িয়ে পড়লে শরিফকে এ পথ থেকে ফেরাতে তার পরিবার ২০১৭ সালে বাসাইলের ময়থা গ্রামে বিয়ে করান। এতেও শরীফ আর রহিমা সম্পর্ক পিছপা হননি। অবশেষে ২০১৯ সালে চাচীকে দিয়ে চাচাকে ডিভোর্স করান শরীফুল। অবশেষে দুই পরিবারের সমঝোতায় গত সপ্তাহে বিয়ের মাধ্যমে ভাতিজা ও চাচীর দেড় যুগের পরকীয়ার অবসান ঘটলো। সত্যতা প্রমাণে চাচী রহিমা ও তার ভাই আনোয়ার মোল্লার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তারা উভয়ই বিয়ে হওয়ার সত্যতা স্বীকার করেন। এ ব্যাপারে বহুরিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম বলেন, শরিফুল ও রহিমার পরিবারের মধ্যে সমঝোতা হয়। পরে এই বিয়ে সম্পন্ন করা হয়েছে এবং তা শরিফের বর্তমান স্ত্রীও মেনে নিয়েছে। বহুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম কিবরিয়া সেলিম বলেন, নিজের স্ত্রী সন্তান থাকার পরও সমাজে নেতৃত্বদানকারী ব্যক্তি হয়ে শরিফুল ইসলামের এরকম একটি কাজ করা ঠিক হয়নি। রহিমার পূর্বের স্বামী ইমান বলেন, শরিফ আমার ভাতিজা হয়ে আমার সুখের সংসার জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ছাড়খাড় করে দিয়েছে। তিনি আরো বলেন, আমার সন্তান দুটো সে ছিনিয়ে নিয়েছে। আমি ওই লম্পটের বিচার চাই। চাচীকে বিয়ের বিষয়টি স্বীকার করে মো. শরীফুল ইসলাম বলেন, লকডাউন থাকায় বিয়ের দাওয়াত দিতে পারি নাই। আপনাদের অচিরেই দাওয়াতের ব্যবস্থা করা হবে।

আলোকিত প্রতিদিন/২৪ আগস্ট ২০২১/ আর এম

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here