প্রতিনিধি, সীতাকুণ্ড:
চট্রগ্রামের সীতাকুণ্ডে উপকূলীয় বনাঞ্চল বৃদ্ধির লক্ষ্যে খাস জমিতে বাগান তৈরীর শুরু করেছে উপকূলীয় বনবিভাগ। চরাঞ্চলের খাস জমিতে মাউন্টের মাধ্যমে চলছে নতুন বাগান তৈরীর কাজ। খাস জমিতে উপকুলীয় চর এলাকায় সমতলের স্তুুপকৃত মাটির গর্তে জৈব সার দিয়ে ১৫ দিন রেখে দিলে হয়ে উঠছে মাউন্ট। আর গাছ লাগানোর উপযুক্ততা পাওয়ার পর এসব মাউন্টে গাছ লাগানো হয়। এ পদ্ধতি ব্যবহার করে মুরাদপুর ইউনিয়নের একাধিক স্থানে তৈরী হচ্ছে মাউন্ট বাগান। ইতিমধ্যে ভাটেরখীল এলাকায় মাউন্টের কাজ শেষে চারা গাছ লাগানো হয়েছে। কিন্তু মাস না যেতেই রোপিত চারা গাছ মরে গিয়ে বিলীন হওয়ার উপক্রম হয়েছে মাউন্ট বাগান।
সূত্র মতে, প্রায় ১৫ হেক্টর জমিতে ১৩ লাখ টাকা ব্যয়ে প্রস্তত করা হয়েছে মাউন্ট বাগান। এ বাগানে রয়েছে অর্জুন, কড়ই, ঝাউসহ নানা জাতের গাছ। জুন মাসে মাউন্ট প্রস্তুত শেষে নির্দিষ্ট সময়ের পর চারা গাছ লাগানো হয়। সমতল জমিতে মাটির স্তুুপ বানিয়ে গর্তে জৈব সার দেয়ার মাধ্যমে ১৫ দিন রেখে গাছ লাগানোর উপযুক্ত পাওয়ার পর মাউন্টে চারা গাছ লাগানো হয়েছে। কিন্তু ছোট, অপরিপক্ক এবং লবনাক্ত পানি সহনীয় না হওয়ায় লাগানোর কয়েক দিনের মধ্যে চারা গাছগুলো লাকড়িতে পরিনত হয়েছে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়। এ পরিস্থিতিতে সুফল পাওয়ার আগে সরকারী অর্থ জলে ভেসে যাচ্ছে বলে জানান স্থানীয়রা।
ভাটেরখীলের স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, জনগনের জানমাল রক্ষার পাশাপাশি পরিবেশ ভারসাম্য রক্ষায় উপকূলে বাগান সৃষ্টি করছে। অথচ, বাগান তৈরীর নামে লক্ষ লক্ষ টাকা হরিলুট করছে বন বিভাগের কর্মকর্তারা। অপ্রস্তুত মাউন্টে দুর্বল চারা লাগানোর কারণে মরে গেছে অনেক গাছ। তাছাড়া লাগানোর পর থেকে পরিচর্যা না হওয়ায় লাখ লাখ টাকা ব্যয় হলেও বাগানটি কোনো কাজে আসছে না বলে জানান তারা। তবে, স্থানীয় মানুষেরা গাছ নষ্ট করায় বাগানটি গড়ে তুলা সম্ভব হচ্ছে না বলে জানান উপকূলীয় বন বিভাগের স্থানীয় বন কর্মকর্তা মো: কামাল উদ্দিন।
এভাবে বাগানের নামে নানা ফন্ধি ফিকিরের মাধ্যমে আত্নসাত করে যাচ্ছেন কর্মকর্তারা। উর্ধতন কর্তৃপক্ষের তদারকি না থাকায় সরকারী অর্থ ব্যয় করার পরও আসছে না সুফল।
এ বিষয়ে বিভাগীয় বন কর্মকর্তা গোলাম মাউলা বলেন, বরাদ্ধকৃত অর্থে বনের অস্থিত্ব পাওয়া না গেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। বনাঞ্চল নিয়ে ছল-ছাতুরী করলে ছাড় দেয়া হবে না বলে জানান তিনি।
আলোকিত প্রতিদিন/ ২৪ আগস্ট,২০২১/ দ ম দ