নেত্রকোণা, প্রতিনিধিঃ
নেত্রকোণা জেলার মোহনগঞ্জ উপজেলার ৬নং সুয়াইর ইউনিয়নের শেখুপুর গ্রামে ১৯৫৬খ্রিঃ ২৩সেপ্টেম্বর জন্মগ্রহণ করেন।উনার পিতা ছিলেন মরহুম আনফর আলী ও মাতা মরহুমা খোদেজা বিবি।তিনি ১৯৭১সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করার জন্য ভারতের ভূটান/বগাঝুলি চীন সিমান্তে ২৯দিন সশস্ত্র গেরিলা প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। প্রশিক্ষণ শেষে ভারতের গোহাটি সেনা ক্যাম্পে ৩দিন থাকেন। সেখানে মুক্তিযোদ্ধাদের গেরিলা ছবি ও যুদ্ধের কিছু চিত্র দেখানো হয় তারপর ভারতের তোরায় নাইট ফায়ার অস্ত্র বরাদ্দ কোম্পানি বন্টন ও শপথ বাক্য পাঠ করেন। সেখানে ১ সপ্তাহ থাকার পর ভারতীয় সেনাবাহিনী বাঘমারা সাব-সেক্টরে তাকে রেখে যান । দেশে এসে তিনি বিভিন্ন জায়গাতে পাকিস্তানি শাসকদের বিরুদ্ধে সম্মুখ যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। এর মধ্যে কলমাকান্দা উল্লেখযোগ্য। পর্যায়ক্রমে কোম্পানি কমান্ডারের নির্দেশ মোহনগঞ্জ থানা আক্রমণ করেন। চলমান এই যুদ্ধ শেষ না হওয়া পর্যন্ত তিনি/তাঁদের কোম্পানি মোহনগঞ্জ মুক্ত না হওয়া পর্যন্ত চারিদিকে অবস্থান নেন। যুদ্ধকালীন সময় তিনি ১১নং সেক্টরে ছিলেন। তৎকালীন সময়ে সেক্টর কমান্ডার ছিলেন কর্নেল তাহের ও কোম্পানি কমান্ডার ছিলেন গোলাম মৌলা তালুকদার। মহান স্বাধীনতা অর্জনের পর সরকারি চাকুরী (বিডিআর)এ যোগদান করেন এবং ২০০৪সালে চাকুরী থেকে অবসরে আসেন। দীর্ঘদিন অবসরে থাকার পর ২০১২সালের ২৬আগষ্ট মোহনগঞ্জ পৌর শহরের কলেজ রোডের নিজ বাসায় মৃত্যু বরণ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী ও তিন ছেলে সন্তান রেখে যান। উনার ১ম ছেলে সাংবাদিক ইয়াছির আরাফাত রনি, ২য় ছেলে বাংলাদেশ পুলিশে কর্মরত পুলিশ সার্জেন্ট আব্দুল্লাহ আল মোজাহীদ, ৩য় ছেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র নাহিদ হাসান সানি। জাতির এই শ্রেষ্ঠ সন্তানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তাঁর জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া প্রার্থনা করেন পরিবারের সদস্যরা।
আলোকিত প্রতিদিন/ ২৫ আগস্ট ২০২১/ আর এম