শ্রীনগরে সরকারি খাল ভরাট, সেতু হুমকির মুখে

0
294
প্রতিনিধি,শ্রীনগর(মুন্সীগঞ্জ) :

শ্রীনগর উপজেলার কোলাপাড়া ইউনিয়নে একটি সরকারি খালের জায়গায় মাটি ভরাটের কারণে সেতুটি হুমকির মুখে পড়েছে। কোলাপাড়া উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন কোলাপাড়া-দুগাছি রাস্তার পশ্চিম পাশে ও দুগাছি সরকারি খালের ওপর নির্মিত সেতুর উত্তর পাশের অ্যাপ্রোচ ও গাইড ওয়ালসহ খালের অনেকাংশ জুড়ে মাটি ভরাট করে দখলের পায়তারার অভিযোগ উঠেছে। কোলাপাড়া এলাকার ব্রাহ্মন পাইকশা গ্রামের মৃত শফিউদ্দিনের পুত্র মো. হারুনের বিরুদ্ধে সরকারি খালে এই মাটি ভরাটের অভিযোগ উঠেছে । সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, মাটি ভরাটের কারণে গুরুত্বপূর্ণ সেতুটির পূর্ব দিকের উত্তর পাশের অ্যাপ্রোচের সাথে সংযুক্ত গাইড ওয়ালের অংশটি ভেঙে পানিতে ডুবে গেছে। এতে যে’কোন সময়ে সেতুর মূল কাঠামো ভেঙে পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। জানা গেছে, রাতের আঁধারে ট্রাকে করে বালু এনে এখানে ভরাট কাজ হচ্ছে। বালু ভর্তি এসব ট্রাক আসার কারণে কোলাপাড়া-দুগাছি প্রায় দেড় কিলোমিটার ইট সলিং রাস্তাটি বেহাল করার কারণে এলাকাবাসীর তোপের মুখে পড়ে মাটি ভরাটকারী মো. হারুন। এর পর কিছু দিনের জন্য খাল ভরাটের কাজ বন্ধ ছিল। সামান্য মালিকানা সম্পত্তির থাকার অজুহাতে সুকৌশলে রীতিমত খাল ভরাট করে সরকারি সম্পত্তি দখলের চেষ্টা করা হচ্ছে বলে সূত্রমতে জানা যায়। এলাকাবাসী জানায়, মাটির চাপে সেতুর গাইড ওয়াল ভেঙে পড়ে। এরই মধ্যে এসব বালু/মাটি খালে গিয়ে খালের নব্যতা কমে যাচ্ছে। এ কারণে খালে পানি প্রবাহে বাঁধাগ্রস্ত হওয়াসহ সেতু ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন তারা। মো. হারুনের কাছে এবিষয়ে জানতে চাইলে তিনি দাবী করে বলেন এখানে ৭০ শতাংশ জায়গা রয়েছে। আমি ঢাকায় বসবাস করি। খালে মাটি ভরাটের কাজে সেতুর অ্যাপ্রোচ ও গাইড ওয়াল ভাঙার বিষয়ে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমি জানিনা। কোলাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী নেছার উল্লাহ্ সুজনের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা  নিচ্ছি। খাল ভরাটের বিষয়ে স্থানীয় ভূমি অফিসের তহসীলদার উত্তম কুমার সাহা জানান, আগামীকাল ঘটনাস্থলে লোক পাঠিয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছি। এ ব্যাপারে শ্রীনগর উপজেলা (এলজিইডি) প্রকৌশলী মো. রাজিউল্লাহ্ জানান, সরেজমিন পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আলোকিত প্রতিদিন/ ২৫ আগস্ট ২০২১/ আর এম

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here