প্রতিনিধি,ফরিদপুর:
ফরিদপুরে নদী ভাঙ্গনের শিকার বহু পরিবার। বন্যার পানিতে ডুবছে হাজার হাজার মানুষ। একদিকে ভাঙ্গনে ভিটে বাড়ী শেষ। অপরদিকে, ফসলি জমি সব পানির নিচে। ফরিদপুর সদর উপজেলার নর্থচ্যানেল ও ডিক্রীরচর এলাকা, সিএন্ডবি ঘাট,মান্দারতলা, ভুঁইয়াবাড়ীরঘাট, এলাকায় নদী ভাঙ্গন চলছে। অপরদিকে,চরভদ্রাসন উপজেলার চরহাজীগঞ্জ,হরিরামপুর, জাকেরের হুরা, চর হরিরামপুর,এলাকায় চলছে তীব্র ভাঙ্গন। গত এক মাসে এই এলাকার কমপক্ষে এক একর ফসলি জমি নদী গর্ভে চলে গেছে বলে আওয়ামীলীগ কর্মী মোঃ শহীদ মাতুব্বর জানান। এছাড়াও সদরপুর উপজেলার চরনাসীরপুর,দিয়ারার, দিয়ারার নারেকল বাড়িয়া, ও চরমানাইর ইউনিয়নের পদ্মারচর সংলগ্ন এলাকায় নতুন করে ভাঙ্গন চলছে। পাশা-পাশি পদ্মায় পানি বাড়ার কারনে বহু ফসলি জমি তলিয়ে গেছে। বিগত ৫ বছরে এই তিনটি উপজেলার উল্লেখিত, ইউনিয়নের একাধিক গ্রাম সম্পুর্ন নদীতে বিলিন হয়ে কমপক্ষে ২/৩ হাজার মানুষ গৃহহারা হয়েছেন। এছাড়াও ফরিদপুর সদর থানার ডিক্রীরচর ও নর্থচ্যানেল ইউনিয়ন দুটির সীমান্তর্তী এলাকা গোলডাঙ্গী। এখানেও নদীভাঙ্গন তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে। ভাঙ্গন ঠেকাতে পাউবো কর্তৃপক্ষ প্রানপন চেষ্টা করলেও কোন কাজে আসছে না। কারন পদ্মার পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে পানির তোর প্রচন্ড বেড়ে গেছে। অপরদিকে, পদ্মার পানি বিপদ সমীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায়, ভাঙ্গন আরো তীব্রতর হচ্ছে। প্রচন্ড ভাঙ্গনের মুখে সদর থানার নর্থচ্যানেল এলাকার মুন্সি ডাঙ্গী, ভুঁইয়াডাঙ্গী এবং ফরিদপুর – গোয়ালন্দের সীমানা পয়েন্টে গত ৩ মাস এ যাবৎ নদী ভাঙ্গন অব্যাহত আছে। ভাঙ্গনের কবলে পরে ঐ এলাকার কমপক্ষে ৭০/৮০ টি বাড়ী নদীতে বিলিন হয়ে গেছে। প্রচন্ড হুমকীর মুখে আছে গোলডাঙ্গী ব্রীজ, বেড়ীবাঁধ, স্কুল, মাদ্রাসা ও মসজিদ। এই বিষয় কথা হয়, ফরিদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী জনাব,সুলতান মাহমুদের সাথে, তিনি বলেন, আমরা ভাঙ্গন ঠেকাতে প্রান পন চেষ্টা করছি। পদ্মায় পানি বৃদ্বির কারনে প্রচন্ড বেগ পেতে হচ্ছে ভাঙ্গন ঠেকাতে। ইতোমধ্যেই, প্রায় ৫০ হাজার জিওব্যাগ নদীতে নিক্ষেপ করে ভাঙ্গন ঠেকানোর ব্যাবস্হা চলছে। গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে কথা হয়, ফরিদপুর জেলা প্রশাসক জনাব, অতুল সরকারের সাথে তিনি বলেন, আমরা সকলের সমন্বয় আন্তরিকতার সাথে ভাঙ্গন ঠেকাতে কাজ করছি। গত রবি,সোমবারে হটাৎ ফরিদপুর পদ্মা নদীতে ৫১ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্বি পাবার কারনে ভাঙ্গন তীব্রতর হচ্ছে। এ কথা বললেন, স্হানীয় আওয়ামীগের নেতা মোফাজ্জেল হোসেন। এছাড়াও ফরিদপুর সদর উপজেলার ডিগ্রীরচর যৌনপল্লী এলাকা, ভুঁইয়াডাঙ্গী, ভুইয়াবাড়ীর ঘাট এলাকা, মাঝেরচরে বহু গ্রাম বন্যার পানিতে ডুবে গেছে। অপরদিকে ভাঙ্গন ও তীব্র হচ্ছে। ভাঙ্গন ও বন্যার বিষয় কথা বলেন, ডিগ্রীচরের চেয়ারম্যান মোঃ মিন্টু ফকির এবং নর্থচ্যানেল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোস্তাকুজ্জামান। তারা বলেন, আমরা সকলের খো্ঁজ খবর নিচ্ছি। সাধ্যমত সাহায্যের চেষ্টাও করছি।