রাত তিনটায় প্রেমিকের সাথে দেখা করতে গিয়ে ধর্ষণের স্বীকার তরুনী

বিষয়টি শুনতে সাজানো নাটক মনে হলেও এরকম ঘটনা ঘটিয়েছে বরগুনার ছেলে। যদিও সবার মনে হতে পারে উভয়ের মতেই যৌনতৃপ্তি মেটানোর সময় এলাকাবাসীর কাছে ধরা খেয়ে মেয়েকে বাচানোর জন্যই ধর্ষণে অভিযুক্ত করা হয়েছে। বরগুনা সদর উপজেলার ৫নং আয়লা পাতাকাটা ইউনিয়নের বৈকালিন বাজার নামক স্থানে নানা বাড়িতে বেড়াতে এসে ১০ম শ্রেণী পড়ুয়া এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে রাব্বি নামের এক কিশোরের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) রাতে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী ও প্রত্যক্ষদর্শী এলাকাবাসী। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ধর্ষক রাব্বিকে আটক করেছে বরগুনা থানা পুলিশ। ভুক্তভোগী কিশোরীর সূত্রে জানা যায় , “অভিযুক্ত ধর্ষক রাব্বির সাথে তার দীর্ঘদিন প্রেমের সম্পর্ক ছিল। গতকাল (২৬ আগষ্ট বৃহস্পতিবার) ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রী ঐ কিশোরী তার নানাবাড়িতে বেড়াতে আসেন। তার বেড়াতে আসার খবর জানতে পেরে রাত ৩টার দিকে মুঠোফোনে তাকে বাহিরে আসতে বলে অভিযুক্ত রাব্বি। ভুক্তভোগী ঐ স্কুলছাত্রী অভিযুক্ত রাব্বির কথায় তার নানার ঘরের বাহিরে এসে কথা বলে। কথা বলা শেষে ঘরে ফেরার সময় রাব্বি ভুক্তভোগী ঐ কিশোরীকে জোরপূর্বক ২ বার ধর্ষণ করে।”এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, রাত ৩টার একটি মটর সাইকেল ঐ কিশোরীর নানার বাড়ির সামনে থামলে তাদের সন্দেহ হলে ঐ স্কুল ছাত্রী কিশোরীকে ধর্ষণের সময় তারা রাব্বিকে হাতেনাতে আটক করে ৯৯৯ এ ফোন করে পুলিশে খবর দেয়। সকালে পুলিশ এসে অভিযুক্ত রাব্বিকে আটক করে বরগুনা থানায় নিয়ে যায়। ধর্ষক রাব্বি ঐ একই ইউনিয়নের পাকুরগাছিয়া গ্রামের আব্দুল হক মিয়ার ছেলে। এ বিষয় বরগুনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কেএম তারিকুল ইসলাম বলেন, “৯৯৯ এর ফোন পেয়ে আমাদের পুলিশের একটি চৌকশ টিম এস আই দিবাকরের নেতৃত্বে ঘটনাস্থলে পাঠাই, ঘটনাস্থল থেকে অভিযুক্ত রাব্বিকে আটক করা হয়েছে। তদন্ত করে আইননুগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।