প্রতিনিধি,নড়াইল :
নড়াইল সদর উপজেলার নির্বাচন অফিসের ভোটার তালিকা প্রণয়নে সীমাহীন দূর্নীতি,অনিয়ম,স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ পাওয়া গেছে। জান যায়, ২০১৯ সালের ভোটার তালিকা প্রণয়ন কর্মসূচীতে অর্থের বিনিময়ে ভোটার তালিকার ফরম পূরন করা হয়েছে। চাহিদা মত টাক দিতে না পারলে ভোটার তালিকা হাল নাগাদ কার্যক্রমে কৌশলে সায়েস্তা করা হয়েছে নাগরিকদের। জীবিত ভোটারদের মৃত প্রত্যায়ন দিয়ে ভোটার তালিকায় তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। এছাড়াও ভারতে বসবাসরত অনেকেই নাগরিক করা হয়েছে। ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমে দায়িত্বরতদের সীমাহীন খামখেয়ালীপনায় ভূলে ভরা স্মার্ট-কার্ড । নামের বানান ভুল, পিতার নাম ভুল, জীবিত ব্যাক্তিকে মৃত দেখানোসহ নানাবিধ সেচ্ছাচারিতার সদৃশ ফুটে উঠেছে। নির্বাচন অফিসের এই অনিয়ম দূর্নীতি সেচ্ছাচারিতার দায় অফিস নিতে রাজি হয়নি। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে দোষ দেওয়া হয়েছে ফিল্ডে কাজ করা ফিল্ড অফিসারদের বিরুদ্ধে। অপর দিকে দায় এড়াতে সুপারভাইজারও চোখ বুঝে সাক্ষর করেছেন বলে জানিয়েছেন এ প্রতিবেদককে। এ বিষয়ে ক্ষতি গ্রস্থ কৃষ্ণ পদ বিশ্বাস হয়রানির শিকার হয়ে বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, তিনি করোনাকালীন সময়ে টিকার নিবন্ধন করতে গেলে তাকে ভোটার কার্ড সঠিক নয় বলে জানানো হয়। নিরুপায় হয়ে তিনি নির্বাচন অফিসে গেলে দেখা যায় তাকে মৃত আখ্যায়িত করে প্রত্যয়ন দেওয়া হয়েছে । সেই প্রত্যায়নে সাক্ষর রয়েছে ওয়ার্ড মেম্বার , ভোটার তালিকা প্রণয়ন কর্মসূচীর সুপারভাইজার, ও ফিল্ড অফিসারের। তার ভোটার কার্ড সঠিক ভাবে করতে নির্বাচন অফিসে পুনরায় আবেদন করতে হবে। এ রকম ভাবে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে এ রকম কাজ করা হয়েছে। টাকা দিতে না পারলে এই রকম ভোগান্তি হয়েছে বলে জানিয়েছেন একাধিক ব্যাক্তি। এ বিষয়ে দায়িত্বরত শিক্ষক মোঃহাসিবুর রহমান জানান, কাজে ভুল হতে পারে। এ বিষয়ে কিছুই হবে না।
এ বিষয়ে জানতে ভোটার গননার কাজে নিয়োজিত সুপারভাইজার সিকদার আবদুল আমিন জানান,আমি তো চোখ বুঝে সাক্ষর করেছি। ভুল হলে ফিল্ড অফিসার দায়ি। নির্বাচন অফিসার মোঃ কামরুজ্জামান বলেন, এ বিষয়ে দায়িত্ব প্রাপ্ত ব্যাক্তিদের ডেকে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
আলোকিত প্রতিদিন/ ২৮ আগস্ট/ আর এম