প্রতিনিধি, উলিপুর (কুড়িগ্রাম):
কুড়িগ্রামের উলিপুরে হালকা ও মাঝারি বৃষ্টিপাত ও উজানের পাহাড়ি ঢলের কারণে ব্রহ্মপুত্র, তিস্তা ও ধরলা নদীতে হু হু করে বাড়ছে পানি ভাঙ্গছে পাড়। শনিবার সকালে ধরলা নদীর পানি ব্রিজ পয়েন্টে বিপদসীমার ১৭ সেন্টিমিটার ও ব্রহ্মপুত্র নদের ৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বৃদ্ধির ফলে নিচু এলাকার ফসলি জমিসহ বসতবাড়িতে পানি ঢুকতে শুরু করেছে। এবং ব্যাপক ভাবে ভাঙ্গছে পাড়।
এ দিকে, পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয়েছে তীব্র ভাঙন। উপজেলার বেশ কয়েকটি এলাকায় ব্যাপক ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙন রোধে স্থানীয় মানুষ স্বেচ্ছায় বাঁশের বান্ডাল ও পানি উন্নয়ন বোর্ড জিও ব্যাগ ডাম্পিং করেও ভাঙন ঠেকাতে পারছে না।
গত কয়েক দিনের ব্যবধানে তিস্তা নদী বেষ্টিত উপজেলার বজরা, থেতরাই ও দলদলিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকার কয়েকশত বসতভিটা, মসজিদ, কাঁচা-পাকা সড়ক, সহস্রাধিক ফসলি জমিসহ বিভিন্ন স্থাপনা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় তিস্তার পাড়ের মানুষের অনেক দুর্ভোগ দুর্দশা। বন্যার কবলে পড়া লোকজন বলেন আমাদের খাওয়া দাওয়ার অনেক কষ্ট হয়েছে। তারা বলেন একদিকে বন্যার পানি অন্য দিকে নদী ভাঙ্গন। তারা বলেন প্রধান মন্ত্রীর নিকট আমাদের আবেদন কিভাবে নদী ভাঙ্গন রোধ করা যায় সে ব্যাবস্থা নিবেন।
এ ছাড়া ভাঙনের হুমকিতে রয়েছে, বজরা ইউনিয়নের বগুলাকুড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সাতালস্কর সরকারি বালিকা বিদ্যালয়, সাদুয়া দামারহাট বাইতুল আমান জামে মসজিদ, সাদুয়া দামারহাট ব্যাপারীপাড়া জামে মসজিদ, থেতরাই ইউনিয়নের গোড়াই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, গোড়াই পিয়ারী দাখিল মাদরাসা, কমিনিউনিটি ক্লিনিক, মসজিদ, বৈদ্যুতিক খুঁটি, বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ, আবাদী জমিসহ বিভিন্ন স্থাপনা।
আলোকিত প্রতিদিন/ ২৯ আগস্ট, ২০২১/ দ ম দ