সাভার, প্রতিনিধি:
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করেছে জিয়াউর রহমান। এটা দিনের আলোর মতো পরিস্কার। তাই আমি বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারী জিয়াউর রহমানের মরনোত্তর বিচারের দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারন সম্পাদক আলহাজ্ব মাইনুল হোসেন খান নিখিল। সোমবার দুপুরে ঢাকা জেলা যুবলীগের উদ্যোগে ১৫ আগষ্ট জাতীয় শোক দিবস স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬ তম শাহাদাত বার্ষিকি উপলক্ষ্যে প্রায় এক হাজার অসহায় পরিবারের মাঝে খাদ্যসামগ্রী প্রদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে প্রধান বক্তার বক্তব্যে একথা বলেন। এসময় তিনি আরও বলেন, জিয়াউর রহমান যদি মুক্তিযুদ্ধই করে থাকতেন তাহলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করে ক্ষমতায় এসে বহুদলীয় গণতন্ত্রের নামে জামায়েত ইসলামকে রাজনীতির সুযোগ করে দিলেন কেন? কেন গোলাম আযমের নাগরিকত্ব ফিরিয়ে দিলেন। তিনি যদি মুক্তিযুদ্ধের একজন সৈনিক হয়ে থাকতেন রাস্ট্রীয় ক্ষমতায় আসার পর কুখ্যাত রাজাকার শাহ আজিজকে কেন প্রধানমন্ত্রী বানালেন? কুখ্যাত রাজাকার আব্দুল আলীমকে রেলওয়ে মন্ত্রী কেন বানালেন? এখানেই শেষ নয় বঙ্গবন্ধুর খুনিদেরকে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন জিয়াউর রহমান। তারই ধারাবাহিকতায় তার উত্তরসুরি বেগম খালেদা জিয়া সকল শহীদের রক্তের বিনিময়ে এবং দুই লক্ষ মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে অর্জিত লাল সবুজের পতাকা তুলে দিলেন মুজাহিদ ও নিজামীদের গাড়িতে। বিএনপিকে একটি জঙ্গী সংগঠন ও সন্ত্রাসী সংঠগণ উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, বিএনপি দেশের মানুষকে ভালোবাসেনা, দেশ চায়না, দেশের স্বাধিনতা চায়না। এছাড়া ঐক্যের বিকল্প নেই উল্লেখ করে তিনি সকল ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে একে অপরের প্রতি কাঁদা ছুড়াছুড়ি না করে নিজেরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে সাভারে মাটি থেকে বিএনপি জামায়াতের কবর রচনা করার জন্য প্রস্ততি নিতে বলেন। যেখানে ইসলাম নিষেধ করেছে একটি পিপড়েকেও আগুনে পুরিয়ে হত্যা করা যাবেনা। সেখানে একের পর এক মায়ের কোল খালি করলেন বোমা হামলা চালিয়ে, গবাদিপশুকেও হত্যা করেছে বেগম খালেদা জিয়া। যাত্রাবাড়িতে পেট্রোল বোমা মেরে ৯টি তাজা প্রান কেড়ে নিয়েছে, ১৬৫ মানুষকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম। তিনি আগাম আন্দোলনের ডাকা দিয়েছে। ফখরুল ইসলামের জ্বালাও পোড়াও আন্দোলনকে রুখে দেয়ার জন্য ঢাকা জেলা যুবলীগই যথেষ্ঠ। বিএনপি জামায়াতের সকল অপকর্মকে রুখে দিয়ে মানুষের পাশে দাড়াতে হবে। অসহায় মানুষের পাশে দাড়ানোর সামর্থ্য যুবলীগের আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, যুবলীগ দেশের মানুষের কল্যানে কাজ করে মানবিক যুবলীগ উপাধি পেয়েছেন। অন্যদিকে বিএনপি মানুষকে ভালো বাসেনা। তাই বাংলাদেশে বিএনপি জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধ ঘোষনা করারও দাবি জানান তিনি। আয়োজিত অনুষ্ঠানে ঢাকা জেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি মোঃ সালাহ্ উদ্দিন দরনীর সভাপতিত্বে ভার্চুয়ালী প্রধান অতিথি হিসেবে যুক্ত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি শেখ ফজলে সামস্ পরশ। এছাড়া সন্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, ঢাকা-২০ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা বেনজীর আহমদ, ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ মাহবুবুর রহমান প্রমুখ।
আলোকিত প্রতিদিন/ ৩০ আগস্ট ২০২১/ আর এম
