পিসি দাস, দিনাজপুর:
দিনাজপুর সদর উপজেলার ৯নং আস্করপুর ইউনিয়নের তাঁতীপাড়া গ্রামের রুস্তম আলীর কলেজ পুড়ুয়া মেয়ে মমরাজ আক্তার মিমের (১৯) সাথে একই ইউনিয়নের শেখপাড়া এলাকার মো: এনামুল হকের পুত্র মুরসালিন (২৩) এর সাথে গত ০৩/০৩/২০২০ইং তারিখে ধর্মীয় শরীয়াহ মোতাবেক বিবাহ সম্পন্ন হয় কিন্তু বিয়ের দেড় বছর পেরিয়ে গেলেও মমরাজ আক্তার মিমকে স্ত্রীর স্বীকৃতি না দেয়ায় এবং নানা টালবাহানায় স্ত্রী সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দিলে ৩১/০৮/২০২১ইং তারিখে দুপুর ১.৩০ মিনিটে তার স্বামীর বাড়িতে অবস্থান নিয়েছে। মমরাজ আক্তার মিম সংবাদিকদের জানায় তার স্বামী মুরসালিনের সে সাথে বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন সময় বেড়াতে যেত। এমন কি সে আরও জানায় দিনাজপুর পলিটেকনিক ইনষ্ট্রিটিউট এ ভর্তির সুযোগ পাওয়ার পরেও তার স্বামী তাকে এখানে ভর্তি না করিয়ে দিয়ে ঠাকুরগাঁও পলিকেটকনিক ইনষ্ট্রিটিউটে ভর্তি করে দেয়। সে আরও জানায় তার স্বামী তাকে নিয়মিত কলেজে যাওয়া আসা করত এবং বাসা ভাড়া নিয়ে থাকত। হঠাৎ মাস খানেক আগে আমার স্বামী মুরসালিন তোমাকে দিয়ে আমার আর সংসার হবে না। আমি এখন বিদেশে যাব। তখন উপায়নন্তর না দেখে মমতাজ আক্তার মিম তার পরিবারকে সমস্ত ঘটনা খুলে বলে। তারপর মমতাজ আক্তার মিম বলে আমার স্বামী ব্যপারটিকে হালকা করার জন্য আমাদের বাড়িতে নিয়মিত যাতায়াত শুরু করে। এক পর্যায়ে আমার সাথে সে সকল প্রকার যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় তার পিতা মাতার কারণে। মমতাজ আক্তার মিম বলে আমার শ্বশুর এনামুল হক ও আমার শ্বাশুড়ী অত্যন্ত রাগী প্রকৃতির। এবং আরও বলে তারা তাদের ছেলেকে অন্য জায়গায় বিয়ে দিয়ে মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নিয়ে ছেলেকে বিদেশে পাঠাবে। এমতাবস্থায় সুশীল সমাজ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তি ও সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কাছে আমার আকুল আবেদন মুরসালিনের সাথে যেন আমার সংসার হয় এবং আমি তার স্ত্রী হিসাবে স্বীকৃতি চাই। তাকে না পেলে আমি আত্মহত্যার মত কঠিন পথ বেছে নিতে বাধ্য থাকব।
আলোকিত প্রতিদিন/ ৩১ আগস্ট, ২০২১/ দ ম দ