ক্রাইম রিপোর্টার,মুন্সিগঞ্জ :
মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার হোসেন্দী ইউনিয়নের হোসেন্দী বাজার হইতে উপজেলার প্রধান সড়কটি এ যেন মরন ফাঁদ। দীর্ঘদিনের ভোগান্তিতে রাস্তা পারাপার হচ্ছে সাধারণ জনগণ। উপজেলার ১ নং হোসেন্দী ইউনিয়নের প্রধান সড়কের আশ্রাব্দী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় হইতে জাহাঙ্গীর মিয়ার বাড়ি পর্যন্ত প্রায় ১০০ ফিট এই রাস্তাটি যেন ভোগান্তির শেষ নাই। সড়কের বিভিন্ন স্থানে ঢালাই উঠে ছোটবড় গর্ত ও খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টি হলে কাদা ও গর্তগুলোতে পানি জমে থাকে। এতে ছোট যানবাহনগুলো প্রায়ই দুর্ঘটনার শিকার হয়। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন জনপ্রতিনিধিরা তাদের নিজস্ব অর্থায়নে এই রাস্তাটি পূর্ণ মেরামত করা করা হলেও, পানি নিষ্কাশনের সঠিক ব্যবস্থা না থাকার কারনে এ যেন চরম ভোগান্তিতে পারাপার হচ্ছে হোসেন্দী ইউনিয়নের কয়েক হাজার সাধারণ জনগণ। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, আশ্রাব্দী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে জাহাঙ্গীর মিয়া বাড়ি পর্যন্ত সড়কজুড়ে ছোটবড় গর্ত ও খানাখন্দ। হোসেন্দী এলাকায় সড়কটির অবস্থা অত্যন্ত নাজুক। সরকারিভাবে মেরামত না হওয়ায় স্থানীয় সমাজ সেবক ইট ফেলে গর্তগুলো ভরাট ও নতুন করে পাইপ দিয়ে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করে দেন। এবিষয়ে চেয়ারম্যান প্রার্থী হাজী মোঃ আক্তার হোসেন বলেন, উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঝুঁকিপূর্ণ এই রাস্তাটি মেরামতের কোন পদক্ষেপ গ্রহণ না করায়, জনগণের কথা চিন্তা করে এই রাস্তাটি পাইপের মাধ্যমে ড্রেনের ব্যবস্থা করে পানি নিষ্কাশনের স্বয়ংসম্পূর্ণ ব্যবস্থা করে দিয়েছি এবং বেশ কয়েকবার এই রাস্তাটিতে ইট, বালি দিয়ে খানাখন্দ মেরামত করেছি বলে এমনটাই জানিয়েছে চেয়ারম্যান প্রার্থী, হাজী মোঃ আক্তার হোসেন। মেরামত করার কিছুদিন ভালো গেলেও আবার যেন ভোগান্তিতেই পরতে হয় এই হোসেন্দী গ্রামের রাস্তাটিতে। জামালদী বাস-স্টান্ড থেকে হোসেন্দী ইউনিয়ন হয়ে উপজেলার এই প্রধান সড়কটির মধ্যে এ যেন বিষফোঁড়া হয়ে দাঁড়িয়েছে হোসেন্দী গ্রামের এই ১০০শ মিটার রাস্তাটি। এই রাস্তাটি পূর্ণ মেরামত করা হইলে উপজেলার জনসাধারণের আর কোন ভোগান্তি পোহাতে হবেনা। এবিষয়ে একাধিক ব্যাটারি চালিত ইজিবাইক ড্রাইভার বলেন হোসেন্দী গ্রামের এই রাস্তাটির বেহাল দশার কারণে চলাচলে দুর্ভোগ হয়। কয়েকদিন পরপরই গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হলে সেটি মেরামত করতে হয়। সরকারিভাবে মেরামত না হওয়ায় আমাদের চেয়ারম্যান প্রার্থী হাজী মোঃ আক্তার হোসেন এই রাস্তাটি মেরামতের করে দেন। উপজেলা প্রশাসনের সদয় দৃষ্টি কামনা করেন তারা। মানুষের দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে খুব দ্রুত রাস্তাটি মেরামত করা প্রয়োজন বলেই, হোসেন্দী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জনাব মনিরুল হক মিঠুর কাছে, এই বেহাল রাস্তা সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তার সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি। তবে হোসেন্দী ইউনিয়ন পরিষদে তার সাথে দেখা হলে সেই রাস্তাটি সম্পর্কে তাকে জিজ্ঞাসা করলে সে অন্যকথায় এড়িয়ে চলে যায়। এই বেহাল ১০০শ মিটার বেহাল রাস্তাটির মেরামত সম্পর্কে জানতে এলজিইডির গজারিয়া উপজেলার উপজেলা প্রকৌশলী কাজী ইশতিয়াক আহমেদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ইতিমধ্যে এই রাস্তাটির প্রজেক্ট পাস হয়েছে। খুব শিগ্রই রাস্তাটি নতুন করে কার্পেটিং (পিচ) করে রাস্তার কাজ সম্পন্ন করা হবে।
আলোকিত প্রতিদিন/ ১ সেপ্টেম্বর ২০২১/ আর এম