শ্রীনগরে মৌ-মাছির পরিচর্যা ও সংরক্ষণে ব্যস্ত মধু চাষী

0
271
প্রতিনিধি, শ্রীনগর (মুন্সীগঞ্জ) :

মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগরে মৌ-মাছির পরিচর্যা ও সংরক্ষণে ব্যস্ত মধু চাষী। শত শত মৌ বাক্সের মধ্যে এসব মৌ মাছির বংশ বিস্তারের জন্য লালন পালন করা হচ্ছে। বছরের এই সময়ে প্রায় ৩ মাস মৌ-মাছি লালন পালণের পর এসব মৌ মাছিকে মধু আহরণের জন্য উপযোগী করে তোলা হচ্ছে। শ্রীনগর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অস্থায়ীভাবে এমনই কয়েকটি মৌ মাছির সংরক্ষণাগার গড়ে উঠেছে। সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলার বিবন্দী, টুনিয়ামান্দ্রা, সুরুদীয়া, তন্তর, বাড়ৈগাঁও, সাতগাঁওসহ বেশ কয়েক স্থানে রাস্তার পাশে উঁচু জমিতে মৌ মাছির শত শত বাক্স পাঁতা হয়েছে। গাছের ছাঁয়া তলে শীতল জায়গায় কাঠের তৈরী বাক্স সারিবদ্ধভাবে রাখা হয়েছে। রানী মাছিরা বাক্সে মধ্যে বংশ বিস্তার করছে। লক্ষ্য করা গেছে, এসব মৌ মাছির লালন পালন ও পরিচর্যায় অভিজ্ঞ মধু চাষীরা কাজ করছেন। জানা গেছে, আগামী অক্টোবর থেকে নভেম্বর মাসের দিকে মধু আহরণের জন্য প্রস্তুত এসব মৌ মাছির দল নিয়ে বিভিন্ন চরাঞ্চলের আগাম ধনিয়া, সরিষা, কালজিরা ফুলের খাঁটি মধু সংগ্রহ করতে ছুঁটবেন চাষীরা। এমনটাই জানান উপজেলার আটপাড়া এলাকায় মো. ইসহাক আলী নামে এক মধু চাষী। তিনি বলেন, সাতক্ষিরা থেকে তারা এখানে এসেছেন। এখানে থেকে মৌ-মাছির বংশ বিস্তারের পরে অক্টোবরের দিকে এসব মৌ বাক্স নিয়ে সাতক্ষিরায় যাবেন কুল ফুলের মধু সংগ্রহের জন্য। জানা যায়, প্রতিটি বাক্সে সাধারণ মৌ মাছির দল রানীর কোষ দেয়। এসব কোষ থেকে ১০/১২ দিনের মধ্যে রানীদের জন্ম হলেও প্রতি বাক্সে মাত্র একটি করে রানী বেঁচে থাকে। একটি রানী দৈনিক এক থেকে দেড় হাজার ডিম দিতে সক্ষম। একটি রানী মৌ মাছি বেঁচে থাকতে পারে প্রায় আড়াই বছর। বাক্সের মধ্যে এসব মৌ মাছির দল বংশ বিস্তারে আলাদা আলাদাভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করে থাকে। বছরের এই সময়ে মৌ মাছি সংরক্ষণ ও লালন পালনের জন্য প্রতি বাক্সে আহারের জন্য সপ্তাহে কমপক্ষে দুই বার করে চিনির রস/শরবত দিয়ে থাকেন চাষীরা। ১শত’ মৌ বাক্স হিসাব অনুসারে আহারের জন্য প্রতি ৭ দিনে ৫০ কেজির ৪ বস্তা চিনির প্রয়োজন হচ্ছে।

আলোকিত প্রতিদিন/ ১ সেপ্টেম্বর ২০২১/ আর এম

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here