প্রতিনিধি, উলিপুর(কুড়িগ্রাম) :
কুড়িগ্রামের উলিপুর ও চিলমারিতে বৃষ্টি নেই তবুও বন্যায় ব্রহ্মপুত্র নদ অববাহিকায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়ে নতুন নতুন এলাকা পানিবন্দি হচ্ছে। এতে করে প্রায় হাজার হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, ব্রহ্মপুত্রের পানি বৃদ্ধি পেয়ে চিলমারী পয়েন্টে বিপদসীমার ৫১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে করে বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা অবনতি হয়েছে ব্রহ্মপুত্র অববাহিকায়। ব্রহ্মপুত্রের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় চিলমারী ও উলিপুর উপজেলার নদ অববাহিকার নিচু চরাঞ্চলের হাজার হাজার মানুষ পানিবন্দি জীবন যাপন করছে। ভেঙে পড়েছে চরাঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থা। যাতায়াতের দুর্ভোগ বেড়েছে বন্যা কবলিত এলাকার মানুষের। হাতে কাজ না থাকায় বিপাকে পড়েছে পানিবন্দি মানুষজন। পানিতে নিমজ্জিত হয়ে পড়েছে রোপা, আমন, সবজি ক্ষেত ও বীজতলা। উলিপুর উপজেলার হাতিয়া ইউনিয়নের পানি বৃদ্ধির কারণে প্রায় আধা কিলোমিটার বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ তলিয়ে গেছে। ফলে হু-হু করে লোকালয়ে পানি ঢুকতে শুরু করেছে। ব্রহ্মপূত্র ও তিস্তা নদীর অব্যাহত পানি বৃদ্ধির কারণে উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের প্রায় ১০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। হাতিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বিএম আবুল হোসেন জানান, আমার ইউনিয়নের প্রায় সাড়ে ৩ হাজার পরিবার পানিবন্দি জীবন-যাপন করছে। ব্রহ্মপুত্রের পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়ে পড়ছে। বন্যার্তদের জন্য চাল বরাদ্দ পেয়েছি। তা শুক্রবার বিতরণ করা হবে। কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো: মন্জুরুল হক জানান, বন্যার পানিতে নিমজ্জিতি হয়ে পড়েছে প্রায় ২৩ হাজার ৮শ হেক্টর জমির রোপা আমন, ২শ ৮৫ হেক্টর জমির বিভিন্ন জাতের সবজি ক্ষেত ও ১১৫ হেক্টর জমির বীজতলা। কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম জানান, ধরলা ও তিস্তার পানি কিছুটা কমলেও ব্রহ্মপুত্রের পানি বৃদ্ধি পেয়ে চিলমারী পয়েন্টে বিপদসীমার ৫১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এদিকে বন্যার্তদের জন্য ২৮০ মেট্রিক টন চাল ও সাড়ে ১২ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। যা বিতরণ করা হচ্ছে বলে জানান জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম।”
আলোকিত প্রতিদিন/ ৩ সেপ্টেম্বর ২০২১/ আর এম