মানিকগঞ্জে যমুনার পানি বিপদসীমার ৩৩ সেন্টিমিটার উপরে

0
331
প্রতিনিধি, মানিকগঞ্জ:
মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার যমুনা নদীর আরিচা পয়েন্টের পানি গত ২৪ ঘণ্টায় ৮ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপদসীমার ৩৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
 শুক্রবার (৩ সেপ্টেম্বর)  সকাল সাড়ে ১০টার দিকে যমুনা নদীর আরিচা পয়েন্টের পানির স্তর পরিমাপক মো. ফারুক হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। মো. ফারুক হোসেন বলেন, ‘গত মাসের ২২ আগস্ট ( শনিবার)  সকাল ৬টায় এ পয়েন্টের পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করে। উজানের নেমে আসা ঢল আর অতিবৃষ্টিতে নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।’
সাটুরিয়া উপজেলার ধলেশ্বরী নদীর তিল্লি পয়েন্টের গ্রেজ রিডার দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘এ পয়েন্টে গত ২৪ ঘণ্টায় ১১ সেন্টিমিটার পানি বেড়েছে। তিল্লি পয়েন্টের পানি বিপৎসীমার নিচে থাকলেও প্রতিদিন পানি বৃদ্ধিতে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে।’ সদর উপজেলার কালীগঙ্গা নদীর তরা পয়েন্টের গ্রেজ রিডার রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এ পয়েন্টে গত ২৪ ঘণ্টায় ১২ সেন্টিমিটার পানি বেড়ে বিপৎসীমার কাছাকাছি চলে এসেছে। গত দুই সপ্তাহ ধরে এ পয়েন্টে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।’
সদর উপজেলার ধলেশ্বরী নদীর জাগীর পয়েন্টের গ্রেজ রিডার বদর উদ্দিন জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় জাগীর পয়েন্টে ৭ সেন্টিমিটার পানি বেড়েছে। এতে করে নতুন নতুন এলাকায় পানি প্রবেশ করছে। ঘিওর উপজেলার জাবরা এলাকার বাসিন্দা কুবের মিয়া জানান, নদী ভাঙনে বসতভিটা ফসলি জমির ক্ষতি হয়েছে। এখন পানি আরও বৃদ্ধি পাওয়ায় ফসলি জমি তলিয়ে গেছে। দৌলতপুর উপজেলার বাঁচামারা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি)  চেয়ারম্যান মো. আব্দুল লতিফ জানান, গত কয়েকদিনে যমুনার পানি বিপৎসীমার ওপরে থাকায় বন্যা পরিস্থিতি অবনতি হয়েছে।
এ ইউনিয়নে বন্যায় ২২ কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া নিচু ঘরবাড়িগুলোতে বন্যার পানি ঢুকেছে। এছাড়া পানি বৃদ্ধিতে নদী ভাঙনে একশো বিশটি পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেই সাথে যমুনার ভাঙনে এক মাদ্রাসা নদীতে চলে গেছে।
জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল লতিফ জানান, পানি বৃদ্ধির কারণে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকার খোঁজ খবর রাখা হচ্ছে। গত কয়েকদিনে নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত চারশ বায়ান্নটি পরিবারকে ত্রাণ সহায়তা দেওয়া হয়েছে। এ ত্রাণ সহায়তা কার্যক্রম চলমান রয়েছে বলে জানান তিনি।
আলোকিত প্রতিদিন/ ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২১/ দ ম দ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here