প্রতিনিধি,শাজাহানপুর (বগুড়া) :
বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলায় আগাম শীতের মিশ্রজাতের সবজি চাষে ব্যস্ত হয়ে পড়ছে কৃষক ও কিষাণী। বাজারের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে সবার আগে বাজারে নিতে পারলেই বেশি লাভ, আবার আর একটু দেরি হলেই বিক্রয় করতে হয় পানির দরে। এ কারণে শাজাহানপুর উপজেলার কৃষকেরা সবজি চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন। উপজেলার বামুনিয়া, শাহনগর, কামারপাড়া,
আমরুল অঞ্চল শাকসবজি চাষের প্রধান এলাকাকে খাদ্যশষ্য”ভান্ডার” হিসেবে খ্যাত। উপজেলার প্রায় সব জায়গায় কমবেশি শীতকালীন সবজি মুলা, বেগুন, ফুলকপি, বাঁধাকপি, টমেটো, সীম, লালশাক, পালংশাক, পুঁইশাক ও পেঁয়াজের চাষ করছে। উপজেলার কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এবছর উপজেলায় ১২৬০হেক্টর জমিতে বিভিন্ন ধরনের শীতকালীন সবজি চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার আড়িয়া ও চোপিনগর ইউনিয়নের কয়েকটি মাঠ চাষিরা শীতের আগাম সবজির চারা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। কেউ কেউ সবজির চারা জমিতে রোপণ করছেন। আবার কেউ কেউ জমিতে আগাছামুক্ত করতে নিঁড়ানি দিচ্ছেন মেয়ে কিষাণি নিয়ে। চোপিনগর এলাকার চাষি এনামুল হক তিনি বলেন, তার ৬০শতক জমিতে মূলার সঙ্গে লালশাক চাষ করেছেন। পুরুষের পাশাপাশি নারী কৃষাণী জমিতে কাজ করতেও দেখা যায়। বামুনিয়া চাঁদ বাড়িয়া গ্রামের চাষি সাইফুল ইসলাম জানান, এবছর প্রথমবার ২০শতক জমিতে আগাম ফুলকপির চাষ করেছি। ইউনাইটেড সীডবীজ কোম্পানি মুক্তা জাতের চারা সংগ্রহ করে রোপণ করেছিলাম ফলন খুব ভালো হয়েছে, চাহিদা থাকায় জমি
থেকেই ১শত টাকা কেজি দরে পাইকাররা ফুলকপি কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। সব খরচ বাদ দিয়ে ৫০ হাজার টাকার মত লাভ হবে বলে আশা করছি । দাঁড়িগাছা এলাকার বেগুন চাষি মতিউর রহমান জানান, এবছর ৩বিঘা জমিতে বেগুন চাষ করেছি। বৃষ্টিতে গাছের বৃদ্ধি কম হলেও, এখন বেগুন গাছগুলো স্বাভাবিক আছে। আবহাওয়া এমন থাকলে আগামী মাসে ভালো ফলন পাওয়া যাবে। জানতে চাইলে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নূরে আলম জানান, শীতকালীন সবজির উপর উপজেলার কৃষকদের বিশেষ নজর থাকে। এবছর ১হাজার ২শত হেক্টর জমিতে বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি চাষাবাদ হচ্ছে। আমাদের উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা মাঠপর্যায়ে কৃষকদের নানা রকম সহায়তা দিয়ে যাচ্ছেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবারও বাম্পার ফলনের আশা করছি।
আলোকিত প্রতিদিন/ ৫ সেপ্টেম্বর ২০২১/ আর এম