ফেনী প্রতিনিধি:
ফেনী জেলার পরশুরামে সাপ দিয়ে চিকিৎসার নামে শ্বশুর পরিবারের নির্যাতনের শিকার গৃহবধূ খালেদা ইসলাম অমিকে এবার এসিড নিক্ষেপ করা হয়েছে। এ ঘটনায় তারেক ও মিনার নামে দুই যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রোববার (০৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরের দিকে পিতার বাড়ি ফুলগাজী উপজেলার দরবারপুর ইউনিয়নের পূর্বদরবারপুর সেকান্দরপুর মৌলভীবাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে তাকে দেখতে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে যান ফেনী পুলিশ সুপার খোন্দকার নূরুন্নবী। অমির বোন শারমিন আক্তার জানান, সকালে মা শাহেনআরা বেগমসহ তিনি ট্রাংক রোডের সচেতন নাগরিক সমাজের আয়োজনে নারী-শিশু নির্যাতন ও ধর্ষণ প্রতিরোধে মানববন্ধনে অংশ নেন। মানববন্ধন শেষে খবর পান তার বাড়িতে অসুস্থ খালেদা আক্তার অমিকে জানালা দিয়ে এসিড নিক্ষেপ করা হয়। বাকপ্রতিবন্ধী অমি তাদের জানিয়েছে- নিলক্ষ্মী শ্রীপুর এলাকার বাসিন্দা তারেক ও মিনার এ ঘটনা ঘটিয়েছে। তারেক সম্পর্কে অমির স্বামী পরশুরাম উপজেলার সাতকুচিয়া গ্রামের চৌধুরী বাড়ির আবুল হাসেমের ছেলে প্রবাসী লিখন আহমেদের ফুফাতো ভাই ও মিনার তার ভাগ্নে। এসিডে অমির চোখ-মুখ ও হাত ঝলসে গেছে বলে শারমিন জানান। ফুলগাজী থানার ওসি(তদন্ত) মো: আবু তাহের এসিড নিক্ষেপের ঘটনায় দুইজনকে গ্রেপ্তারের সতত্যা নিশ্চিত করেছেন। প্রসঙ্গত, পাঁচ বছর আগে ফুলগাজীর খালেদা ইসলাম অমির সাথে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় পরশুরাম উপজেলার সাতকুচিয়া গ্রামের চৌধুরী বাড়ির আবুল হাসেমের ছেলে প্রবাসী লিখন আহমেদের সাথে। বিয়ের পর থেকে লিখনের মা ও ভাই-বোনরা মিলে খালেদাকে যৌতুকের জন্য নানা নির্যাতন করতে থাকে। গত ৭ আগস্ট চিকিৎসার নামে সাপ দিয়ে বর্বর কায়দায় নির্যাতন করা হয় তাকে। ফুলগাজী থানায় মামলা দায়ের করা হলে অমির ননদ হাসিনা আক্তার ও তার স্বামী আবুল কাশেমকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনায় এলাকাবাসী দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।
আলোকিত প্রতিদিন/ ৬ সেপ্টেম্বর ২০২১/ দ ম দ