সিরাজদিখানে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও শ্রেণী কক্ষ ধোয়া মুছাসহ অগ্রিম প্রস্তুতি শুরু

0
281

প্রতিনধি,মুন্সীগঞ্জ :

করোনা সংক্রমনের কারণে টানা ১৮ মাস শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার পর সরকারি নির্দেশনায় আগামী ১২ সেপ্টেম্বর থেকে খুলছে সারা দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এজন্য সারা দেশের মত মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষা উপযোগী করতে ঝোঁপ ঝাড় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন, শ্রেণী কক্ষ ধোয়া মুছাসহ অগ্রিম প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। উপজেলা শিক্ষা অফিস সুত্রে জানা যায়, করোনা সংক্রমণের কারণে গত বছর ১৮ মার্চ থেকে সারা দেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করা হয়। এরপর অনলাইনে পাঠদান শুরু হলেও সারাদেশে ৬৫ থেকে ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থী নানা কারণে অনলাইনের সুযোগ থেকে বঞ্চিত ছিল। মাঝে কয়েক দফা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার উদ্যোগ নিয়ে করোনা সংক্রমণ না কমার কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা সম্ভব হয়নি। তবে এখন করোনা সংক্রমণ কমার কারণে অতি সম্প্রতি সরকারি সিদ্ধান্তে আগামী ১২ সেপ্টেম্বর থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার নির্দেশনা দেওয়া হয়। তাই আগামী ১২ সেপ্টেম্বরের আগে শিক্ষা উপযোগী করতে হবে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে উপজেলা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের পক্ষ থেকে। এদিকে সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, রাজদিয়া অভয় পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়, ইছাপুরা মডেল উচ্চ বিদ্যালয়,সিরাজদিখান উচ্চ বিদ্যালয়, লতব্দী মাধ্যমিক বিদ্যালয় ঘুরে দেখা যায় পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার কাজ। সরকারি ঘোষণার পর থেকেই সিরাজদিখান উপজেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ১২৮টি, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ২৭টি মাদ্রাসা ১০টি কলেজ ৫ টি খোলার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। সবগুলো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করার, শ্রেণি কক্ষ পরিচ্ছন্ন করা হচ্ছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সীমানা প্রাচীরের ভেতরও বাহিরের ঝোঁপ ঝাড়ও পরিচ্ছন্ন করা হচ্ছে। অফিস, শিক্ষক কক্ষ, প্রাঙ্গণ সবই জীবানু নাশক ছিটিয়ে রাখা হচ্ছে। রাজদিয়া অভয় পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিশ্বজিত ঘোষ বলেন, সরকারি ঘোষণার পর শিক্ষা বিভাগ থেকে তাদেরকে জানানো হয়েছে বিদ্যালয়কে জীবানুমুক্ত করে শিক্ষা উপযোগী করে রাখার জন্য সকল প্রস্তুতি নিতে। ইতি মধ্যে আমরা সকল ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছি। তবে এরই মধ্যে আমরা স্কুলের পক্ষ থেকে মাক্স, হ্যান্ডসেনিটাইজার, তাপমাত্রার মেশিন ও ১টা আলাদা আইসোয়েলেসনের জন্য রুম ঠিক করে রেখেছি। সরকারি ঘোষণার পর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রস্তুতি রাখার সত্যতা নিশ্চিত করে সিরাজদিখান উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো: বেলায়েত হোসেন ও মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কাজী আব্দুল অহিদ বলেন, আগামী ১২ সেপ্টেম্বরের আগে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষা উপযোগী করে প্রস্তুত রাখতে সকল ধরনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে স্কুল প্রধানদের। তবে তারা ঠিক মতো সরকারি আইন মানছে কি না তা নজরদারিতেও রাখা হয়েছে। সিরাজদিখান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ ফয়েজুল ইসলাম বলেন, সরকারি নির্দেশনামত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রস্তুত কিনা ও সে নির্দেশনা মত পরিচালিত হবে কিনা সেদিকে আমাদের উপজেলা প্রশাসন কঠোর নজরদারি করছে।

আলোকিত প্রতিদিন/ ৮ সেপ্টেম্বর ২০২১/ আর এম

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here