সফি সুমন, আশুলিয়া
ঢাকার আশুলিয়ায় নিখোঁজের ৩ দিন পর রবিউল ইসলাম (১০) নামের এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার (১২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে আশুলিয়া ইউনিয়নের কাঠগড়া দূর্গাপুর এলাকার ফাইভ স্টার স্কুল সংলগ্ন মৃত আবুল হোসেনের বাড়ির সিঁড়ির নিচ থেকে রবিউলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত শিশু মো. রবিউল ইসলাম পাবনা জেলার সাথিয়া থানার ধোপাদাও গ্রামের মো. সুমন হোসেনের ছেলে। সে তার পরিবারের সাথে আশুলিয়ার দূর্গাপুর এলাকায় আল-আমিন শেখের বাড়িতে ভাড়া থেকে স্থানীয় একটি মাদরাসায় লেখাপড়া করতো। স্থানীয়রা জানায়, ওই বাড়ির ভিতরে গতকাল থেকে দুর্গন্ধ পাচ্ছিলেন আশেপাশের বসবাসকারীরা। আজ দুপুরে ওই বাড়ির সিঁড়ির নিচে শিশু রবিউলের মরদেহ দেখতে পেয়ে থানায় খবর দেয় স্থানীয়রা। পরে ঘটনাস্থল থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশ জানায়, নিখোঁজ শিশুটির বাবা একজন রিকশা চালক এবং মা একটি পোশাক কারখানায় কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। প্রতিদিনের ন্যায় গত বৃহস্পতিবার সকালে ছেলে রবিউলকে বাড়িতে রেখে তারা কাজে চলে যান। পরে দুপুর ১টার দিকে শিশুটির বাবা বাড়িতে এসে ছেলেকে না পেয়ে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখোঁজি শুরু করে। আজ ওই বাড়ির সিঁড়ির নিচে মরদেহ দেখতে পেয়ে থানায় খবর দেয় স্থানীয়রা। শিশু রবিউলের বাবা সুমন হোসেন বলেন, ছেলেকে বাড়িতে না পেয়ে বাড়ির মালিকের শ্বশুর কলিম উদ্দীন মাঝির বাড়িতে খোঁজ নিতে যান। এ সময় বাড়ির মালিক আল-আমিন শেখের স্ত্রী ইয়াসমিন বেগম জানায়, বেলা সাড়ে এগারোটার দিকে রবিউল তাদের বাড়িতে এসেছিল। পরে কোথায় গেছে তারা জানে না। পুলিশ ইয়াসমিন বেগমকে আটক করেছে শিশু হত্যা সন্দেহে। তিনি আরও জানান, প্রায় এগারো মাস আগে বাড়ির মালিক আল-আমিনকে তিনি আড়াই লাখ টাকা ধার হিসেবে দিয়েছিলেন। সেই পাওনা টাকা ফেরত চাওয়ায় তাকে নানা ধরনের হুমকি দেওয়া হয়। এদিকে শিশু রবিউল নিখোঁজের পর থেকেই আল-আমিন শেখের শ্বশুর ও শাশুড়ি বাড়ি থেকে অন্যত্র চলে গেছে। এ ঘটনায় তিনি শুক্রবার বিকেলে আশুলিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আল মামুন কবির বলেন, এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে এক নারীকে আটক করা হয়েছে। হত্যায় জড়িত বাকি আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
আলোকিত প্রতিদিন/ ১২সেপ্টেম্বর ২০২১/ এইচ