প্রতিনিধি,সাতক্ষীরা :
সাতক্ষীরায় প্রধান শিক্ষক রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নতুন ভবন নির্মাণে ৫ লক্ষ টাকা না পেয়ে কাজ বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, সাতক্ষীরা সদরের সন্নিকটে তালতলা আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নতুন ভবন নির্মাণে সরকারীভাবে বরাদ্ধ আসে ২ কোটি ৫৯ লক্ষ ৪৯ হাজার ৩৮ টাকা। ভবনটি নির্মাণে সময় সীমা দেওয়া হয় ১ বছর। ভবন নির্মাণ কাজের দায়িত্ব ভার দেওয়া হয় ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান মের্সাস মধু ট্রের্ডাস,স্টেশন রোড, খুলনা। মূল ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান এ কাজে নিযুক্ত করেন সাব ঠিকাদার ফজলুর রহমানকে। এর প্রেক্ষিতে গত ২০২০ ইং এর ডিসেম্বর মাসের প্রথম দিকে ভবন নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ৪ তলা বিশিষ্ট ভবন নির্মাণের শেষ পর্যায়ে তালতলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাব ঠিকাদারের কাছে বিভিন্ন সময় চাঁদা দাবী করে আসছিল। কাজ সম্পন্নে বাঁধাগ্রস্ত হওয়ার ভয়ে নিরুপায় হয়ে অবশেষে গত ইং ২ ফেব্রুয়ারী ২০২১ তারিখে ১ লক্ষ টাকা প্রধান শিক্ষক রেজাউল করিমকে নগদ প্রদান করেন। প্রধান শিক্ষক চাঁদার ১ লক্ষ টাকা নগদ নারায়ণ পেয়ে তুষ্ট না হয়ে ফের গত ইং ৫ই জুলাই সাব ঠিকাদারের নিকট ৫০ হাজার টাকা দাবী করেন। এক পর্যায়ে সাব ঠিকাদার উক্ত টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় প্রধান শিক্ষক টাকা না পেয়ে ভবন নির্মাণ কাজে নিম্নমানের কাঁচামাল ব্যবহারের অজুহাতে কাজ বন্ধ করে দেন বলে অভিযোগ করেন সাব ঠিকাদার। এ বিষয়ে সাতক্ষীরা সদরে অবস্থিত তালতলা আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রেজাউল করিম এর সাথে মুঠোফোনে আলাপকালে চাঁদা দাবী ও সাব ঠিকাদার কর্তৃক নগদ অর্থ নেওয়া এবং কাজ বন্ধ করার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি কোন নগদ অর্থ গ্রহণ করেনি কিংবা চাঁদা দাবী করিনি। কাজ বন্ধ করে দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কাজ বন্ধ করে দিয়েছি ঘটনাটি সত্য কারণ সাব ঠিকাদার ভবন নির্মাণে নিম্নমানের ইট ও বালু ব্যবহার করার জন্য। ঊধ্র্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিত কোন অভিযোগ দিয়েছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি সাতক্ষীরা জেলা শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী আবু জাহেদ বিন গফুর এর কাছে অভিযোগ দিয়েছি। এ বিষয়ে সাতক্ষীরা জেলা শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী আবু জাহেদ বিন গফুর এর সাথে মুঠোফোনে আলাপকালে প্রধান শিক্ষক কর্তৃক তালতলা আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণে নিম্নমানের কাঁচামাল ব্যবহার করার মর্মে কোন অভিযোগ দায়ের করেছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রধান শিক্ষক রেজাউল করিম আমার কাছে কোন অভিযোগ দেয়নি। তিনি আরো বলেন, ভবন নির্মাণে কাজের স্টিমেট অনুযায়ী শর্ত মেনে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান সঠিক ভাবে কাজ করেছে। এ বিষয়ে সাতক্ষীরা জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আল মামুনের সাথে মুঠোফোনে আলাপকালে প্রধান শিক্ষক কর্তৃক সাব ঠিকাদারের কাছে চাঁদা দাবী ও নগদ অর্থ গ্রহণের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ ঘটনা আমার জানা নেই, তবে লিখিত অভিযোগ পেলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আলোকিত প্রতিদিন/ ১২সেপ্টেম্বর ২০২১/ আর এম