শ্রীনগরে কাপড়ে সুই-সূতোয় নকশা করে আয়

0
328
 প্রতিনিধি, শ্রীনগর (মুন্সীগঞ্জ) :
বাড়িতে বসে বিভিন্ন কাপড়ে সুই-সূতোয় নানা প্রকার পুথি ও নকশার কারুকাজ করে বাড়তি আয় করছেন নারীরা। সাংসারিক কাজকর্মের পাশাপাশি পাঞ্জাবী, শাড়ি, নকশী কাঁথাসহ অন্যান্য রেডিমেট কাপড়ে হাতে ডিজাইনের কাজ করে অবসর সময় পাড় করছেন তারা। বিভিন্ন রংয়ের পুথি ও পাথর বসানোর মাধ্যমে এসব তৈরী পোষাকের সৌন্দর্য্য ফুঁটিয়ে তুলছেন নারীরা। শ্রীনগর উপজেলার রাঢ়িখাল ইউনিয়নের উত্তর বালাশুর এলাকায় বসবাসকারী অনেক নারীকে দেখা গেছে এসব তৈরী জামা-কাপড়ে দৃষ্টিনন্দন কারুকাজ কাজের মধ্যে দিয়ে দিনানিপাত করছেন । সরেজমিনে দেখা যায়, বিখ্যাত আড়িয়াল বিল এলাকার শ্রীনগরের উত্তর রাঢ়িখাল খালপাড় সংলগ্ন আশ্রয়ণ প্রকল্পের আঙ্গিণায় বসে পাঞ্জাবীতে সুই-সূতা দিয়ে কাপড়ে পুথি ও পাথর বসানোর কাজ করছেন কয়েকজন নারী। নিপুন হাতের ছোঁয়ায় তাদের শৈল্পীক কর্ম ফুঁটিয়ে তুলছেন। এ সময় মনি বেগম (৪০) নামে এক গৃহবধূ বলেন, আশ্রয়ণ প্রকল্পের একটি কক্ষে স্বামী ও সন্তান নিয়ে বসবাস করেন। করোনাকালীন সময়ে লকডাউনের সময়ে দিনমজুর স্বামীর কাজ বন্ধ ছিল। দেশের ক্রান্তিলগ্নে পাঞ্জাবী, শাড়ি, থ্রি-পিসে পুথি ও পাথর বসানোর কাজে সংসার চলছে তার। সংসারের জাবতীয় কাজকর্মের ফাঁকে সময় পেলেই এখনও এই কাজ করে যাচ্ছেন। দিনে গড়ে কয়েক ঘন্টা কাপড়ে নকশী কাজের বিনিময়ে প্রতি মাসে কয়েক হাজার টাকা রোজগার হচ্ছে তার। সংসারের বাড়তি আয়ের জন্য এই আশ্রয়ণ প্রকল্পে বসবাসকারী নারীরা একাজ করছেন। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আশ্রয়ণ প্রকল্পটিতে প্রায় ৫০ থেকে ৬০টি পরিবার বসবাস করছেন। পুরোনো জরার্জীণ টিনশেড ঘরে বসবাসকারী পরিবারগুলোতে নারী ও পুরুষরা সবাই কর্মজীবি। পুরুষরা অটোরিক্সা, মৎস্য শিকারসহ দিনমজুরের কাজকর্ম করেন। আর ঘরে বসে সাংসারিক কাজের পাশাপাশি এখানকার অধিকাংশ নারীই বাড়তি আয়ের জন্য কাপড়ে ফুল তোলা, পাথর বসানো ও নকশী কাঁথার বিভিন্ন কাজকর্ম করেন। নারীদের কাছে এসব কাজের অর্ডার দেন ঢাকার রেডিমেট কাপড় ব্যবসায়ীরা। কাজ শেষে নকশী করা এসব পোষাক বিক্রির জন্য নেওয়া হয় দেশের বিভিন্ন আধুনিক শপিংমলগুলোতে।
আলোকিত প্রতিদিন/ ১৭ সেপ্টেম্বর,২০২১/ এইচ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here