প্রতিনিধি, সাতক্ষীরা:
বর্তমান সরকার উন্নয়ন বান্ধব সরকার। দেশ ও জনগণের কল্যাণে সরকার বদ্ধ পরিকর। এরই ধারাবাহিকতায় প্রত্যন্ত অঞ্চলে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে কোভিড-১৯ এর কারণে ক্ষতিগ্রস্থ প্রান্তিক মাছ, কাঁকড়া ও কুচিয়া চাষীদেরকে সরকারী ভাবে আর্থিক প্রণোদনা দেওয়া হয়। এর ব্যতিক্রম হয়নি সাতক্ষীরা শ্যামনগর। উপজেলার সিনিয়র মৎস্য অফিসার তুষার মজুমদার ৪ হাজার ৮ শত ৫ জনের একটি তালিকা তৈরি করেন। সেই সাথে তৈরিকৃত তালিকাটি মৎস্য অধিদপ্তরে প্রেরণ করেন। চাষীদের অভিযোগ তালিকায় প্রকৃত চাষীদের সিংহভাগ বাদ দিয়ে যারা চাষের সাথে সম্পৃক্ত না সে সকল ব্যক্তিদেরকে তালিকা ভূক্ত করা হয়েছে। প্রকৃত চাষীরা বাদ পড়ে যাওয়ায় সিনিয়র মৎস্য অফিসারের উপর চরম ভাবে ক্ষুব্ধ হন। এক পর্যায় সিনিয়র মৎস্য অফিসার এর সাথে চাষীরা বাকবিতন্ডে জড়িয়ে পড়েন। সরেজমিনে অনুসন্ধানে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ও ভুক্তভোগী চাষীদের সাথে কথা বলে প্রাথমিক ভাবে ত্রুটিপূর্ণ তালিকা তৈরির সত্যতা পাওয়া যায়। এর প্রেক্ষিতে গত ৪ এপ্রিল ২০২১ ইং তারিখে সাতক্ষীরা শ্যামনগর উপজেলার সিনিয়র মৎস্য অফিসার তুষার মজুমদার এর নিকট তথ্য অধিকার বিধিমালা ২০০৯ এর “ক” ফরমে তথ্য প্রাপ্তির জন্য আবেদন করেন। ভুক্তভোগী জানান আবেদনের প্রেক্ষিতে ৫ মাস যাবত সুকৌশলে সিনিয়র মৎস্য অফিসার তুষার মজুমদার তথ্য প্রদানের কথা বলে অজ্ঞাত কারণে তালবাহানা করে কালক্ষপন করেন। উপায়ন্ত না পেয়ে গত ১৫ সেপ্টেম্বর সাতক্ষীরা জেলা মৎস্য অধিদপ্তর কর্মকর্তা মশিউর রহমান এর নিকট লিখিত অভিযোগ সংযুক্তি করণ সহ “গ” ফরমে সিনিয়র মৎস্য অফিসার তুষার মজুমদার এর বিরুদ্ধে আপিল করেন। এ ঘটনায় সাতক্ষীরা জেলা মৎস্য অধিদপ্তর কর্মকর্তা মশিউর রহমান এর সাথে তার দপ্তরে তথ্য প্রদান না করার বিষয়ে আলাপ কালে তিনি জাতীয় দৈনিক আলোকিত প্রতিদিন এর সাংবাদিককে বলেন কেন তথ্য সরবরাহ করেনি এ ব্যাপারে উপজেলা সিনিয়র মৎস্য অফিসার তুষার মজুমদার এর বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আলোকিত প্রতিদিন/ ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২১/ দ ম দ