মালুটিয়ার রাস্তা যেন মরণফাঁদ: ভোগান্তিতে ১০ এলাকার হাজারো মানুষ

0
281
প্রতিনিধি, মানিকগঞ্জ: 
মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার আট্রিগ্রাম ইউনিয়নের মালুটিয়া গ্রামের ১ কিলোমিটার রাস্তা যেন মরণফাঁদ। স্থানীয় ইটভাটার ট্রাক চলাচল করে রাস্তার বেহাল অবস্থা হয়েছে। এতে চলাচলে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন ১০ এলাকার হাজারো মানুষ।
জানা গেছে, এলজিইডি ২০১৬ সালের ২৩ জুন উনে পঞ্চাশ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা ব্যয়ে মালুটিয়া হতে দেবিপুর পর্যন্ত এসবি ইট সলিং দ্বারা রাস্তাটি বাস্তবায়ন করে। রাস্তাটি বাস্তবায়ন হওয়ার পর থেকেই স্থানীয় ইটভাটার মাটিবাহী ও অতিরিক্ত ইট ভর্তি ট্রাক চলাচল করে ধ্বংস করে দিচ্ছে। নির্মাণের চার বছর পার না হতেই রাস্তাটি চলাচলের অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে। চলাচলের একমাএ রাস্তা হওয়ার এতে চরম ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে আশপাশের ১০ এলাকার মানুষদের। রাস্তাটি দিয়ে অবাধে বিভিন্ন ইটভাটার মাটিবাহী ও ইট ভর্তি ট্রাক চলাচল করে রাস্তাটির বেহাল দশায় পরিনত হয়ে পড়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ইটভাটার ইট ভর্তি ট্রাক চলাচল করে রাস্তার দুপাশ নিচু করে ফেলেছে। রাস্তার ইট সলিং ভেঙে গিয়ে ছোট বড় খানাখন্দে পরিণত হয়েছে। রাস্তার অনেক জায়গার ইট সরে গিয়ে রাস্তার মাঝখানে খরতো সৃষ্টি হয়েছে আর যার ফলে ছোট বড় যানবাহন চলাচলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। চলমান বন্যায় রাস্তার দুপাশে পানি এমন অবস্থায় অতিরিক্ত ইট ভর্তি ট্রাক চলাচল করে রাস্তাটির আরো বেহাল দশা করেছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই চলাচলের অনপোযোগী হয়ে পড়ছে।
এলাকাবাসী  জানান, রাস্তাটি হওয়ার পর থেকে এলাকার চেয়ারম্যান নিজের স্বার্থে ইটভাটার মাটির ট্রাক দিয়ে মাটি ও ইট নিয়ে রাস্তাটি নষ্ট করে ফেলেছে। চলমান বন্যার সময়েও ৬ হাজার ইট ভর্তি ট্রাক যাতায়াত করছে। যে রাস্তায় ২ হাজার ইট নিয়ে ট্রাক চললে রাস্তার ক্ষতি হয় সেখানে ৬ হাজার ইট বোঝাই দিয়ে ট্রাক চালাচ্ছে নিজ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান। যার ফলে রাস্তা দিয়ে যাতায়াতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
ভ্যান চালক কামাল বলেন, ভ্যান চালিয়ে তার সংসার চলে। ভাঙা রাস্তার কারনে ভ্যান চালাতে তার কষ্ট হয়। একটু ভারী মাল বোঝাই দিলেই ভ্যান উল্টে যায়। পেটের তাগিদে জীবনের ঝুঁকি এই রাস্তা দিয়েই ভ্যান চালাতে হচ্ছে। ভগবানপুর গ্রামের অনিল চন্দ্র দাস বলেন, আমাদের যাতায়াতের প্রায় ১ কিলোমিটার রাস্তার বেহাল অবস্থা হয়ে পড়েছে। আমরা চরম অবহেলিত এলাকায় বসবাস করি। রাস্তা দিয়ে ইটভাটার ট্রাক চলাচল করে রাস্তা ধ্বংশ করে ফেলেছে। যার ফলে সামান্য বৃষ্টি হলেই যাতায়াতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
এ বিষয়ে আট্রিগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরে আলম সরকার বলেন, রাস্তাটি বাস্তবায়ন হওয়ার পর দুবার বন্যায় কিছু ক্ষতি হয়েছে। শুধু আমার ইট ভাটার ট্রাক চলে না । এলাকার কিছু ইটভাটার ট্রাক চলাচল করে রাস্তার ক্ষতি করেছে। আবার আমরাই রাস্তায় ইট ফেলে রাস্তা ঠিক করতেছি।
আলোকিত প্রতিদিন/ ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২১/ দ ম দ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here