নেত্রকোণায় খাদ্য বান্ধব কর্মসূচীর কার্ড পেল ২৯৪৩ জন 

0
365
নেত্রকোণা প্রতিনিধি  
“শেখ হাসিনার বাংলাদেশ,
     ক্ষুধা হবে নিরুদ্দেশ”
এ শ্লোগানেই খাদ্য বান্ধব কর্মসূচি সারাদেশে বাস্তবায়িত হচ্ছে। বাংলাদেশের মানুষ অনাহারে  থাকবে না এরিই  উদ্দেশ্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার  । এমএস বা খাদ্য  বিভাগ কৃর্তক নিদেশনাশর্ত মোতাবেক  খাদ্য  বান্ধব  কর্মসূচী নীতিমালা  -২০১৭ অনুযায়ী নির্দারিত মূল্যে চাল ক্রয় ও বিক্রয় পরিচালিত হচ্ছে। খাদ্য মন্ত্রণালয় ও খাদ্য অধিদপ্তর থেকে সূত্রে হতদরিদ্রদের ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিতরণের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি হালনাগাদ করছে সরকার। এ কর্মসূচির উপকারভোগীদের সংখ্যা ৫০ লাখ হওয়ার কথা থাকলেও এতোদিন ৫০ হাজারের মতো কম ছিল। এখন এ উপকারভোগীদের অন্তর্ভুক্ত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে মারা যাওয়া ও স্থানান্তর হওয়া উপকারভোগীদের বিচেনায় নিয়ে তালিকা হালনাগাদ করেন । হালনাগাদ তালিকা অনুযায়ী, আগামী সেপ্টেম্বর থেকে তিন মাসের জন্য শুরু হচ্ছে ‘খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি’। ‘খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি’র আওতায় সারাদেশে হতদরিদ্র পরিবারগুলোকে প্রতি মাসে ১০ টাকা কেজি দরে ৩০ কেজি করে চাল দেওয়া হয়। বছরে পাঁচ মাস দেওয়া হয় এ সহায়তা।খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে নতুন করে অতিদরিদ্র উপকারভোগী অন্তর্ভুক্ত করে সেপ্টেম্বর থেকেই চাল বিতরণের নির্দেশনা দেন  সারাদেশের ন্যায়  নেত্রকোণা  জেলাসহ ১০টি উপজেলার  ৮৬ টি ইউনিয়নের  ১৭১জন ডিলার  পুরাতন কার্ড – ৬১১৬৭ ও নতুন কার্ড – ২৯৪৩ জন  ভোক্তভোগী কার্ডধারী  মোট ৬৪১১০ জন। বছরের    ১ম ধাপে  মার্চ- এপ্রিল এবং ২য় ধাপ  সেপ্টেম্বর- অক্টোবর- নভেম্বর    সকাল ৯ টা হতে ৫টা পর্যন্ত  সপ্তাহে তিনদিন  খাদ্য অধিদপ্তর পরিচালিত হতদরীদ্রদের মাঝে প্রতি কেজি  ১০ টাকা  দরে ৩০ কেজি কার্ডের মাধ্যমে চাল বিতরণ করেন ডিলারগণ । ২০-২১ অর্থ বছরে ২৯৪৩ জন  ভূক্তভোগীর সংখ্যা বেড়েছে   উপকৃত  হয়েছে  হতদরিদ্র  মানুষ।  ডিলার গণ জানান, করোনা কালেও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে  কার্ডের  (সোমবার, মঙ্গল ও বুধবারে) চাল বিতরণ করে থাকেন। এ মাসে   উপজেলায় ১৯ তারিখ চালান দেওয়া হয়   ২০  সেপ্টেম্বর সোমবার থেকে শুরু  হয়েছে । বছরের ২ ধাপে নতুন কার্ড যোগ হয়েছে এতে হতদরিদ্র পরিবারের খুবই উপকার হয়েছে।  এখন ১-২ সপ্তাহ  দিনের  মধ্যে বিতরণ শেষ করতে হবে। তাছাড়া কোন সমস্যা যাতে না হয় সে দিকে ও লক্ষ রাখছি । কয়েকজন কার্ডধারীর সাথে কথা বলে জানা যায়, সঠিক সময় ও সঠিক মাপের মধ্যদিয়েই আমরা চাল পাচ্ছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেন  আমাদের সারাজীবন এভাবেই   সাহায্য সহযোগীতা করেন। আর আমরা তাহার জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া প্রার্থনা করি।না হয় খাদ্যের অভাব  অনটন  দিন কাটাতে হতো।নেত্রকোণা প্রশাসনদের ও ধন্যবাদ  জানান তারা। জেলা খাদ্য অফিসার মোঃ জাকারিয়া মোস্তফা বলেন, ১০টাকা কেজি দরে হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে  চাল বিতরণ করছি । আর এই  বিক্রি  কেন্দ্র চালানোর জন্য প্রতি  ইউনিয়নে ২ করে  ডিলার নিয়োগ দিয়েছি।এদিকে নতুন  কার্ড ও বাড়ানো হয়েছে আশা কি উপকৃত  হবে। তিনি আর ও  বলেন,কোন জায়গায়  অনৈতিক  কিছু  পেলে ব্যবস্থা নিব।
আলোকিত প্রতিদিন/ ২৯ সেপ্টেম্বর,২০২১/ এইচ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here