সাদ্দাম হোসাইন সোহান
বাংলাদেশের অনেক সফল ব্যক্তিরা আছেন যারা তাঁদের জীবনের শুরুতে অনেক পরিশ্রম করেছেন। দারিদ্র্যের সঙ্গে লড়াই করে সমাজে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। অনেকেই আবার সামাজিক ভাবে হেয় প্রতিপন্ন হয়েছেন । তারা কঠিন পরিশ্রম আর অধ্যবসায়ে পরবর্তীতে সাফল্যের শিখরে উন্নিত হয়েছেন।কিন্তু সরেজমিনে তদন্তে দেখাযাচ্ছে বর্তমান প্রেক্ষপট একে বারেই ভিন্ন। এখন যারা হটাৎ করে কোটিপতি বনে যাচ্ছেন, তাদের অতিত ঘাটলে মিলবে নানা রকম চমকপদ তথ্য। ইতোমধ্যে বিভিন্ন শহরে র্যাব এবং ডিবি পুলিশের হাতে ধরা খাওয়া অনেকে নাম করা ব্যাক্তি, রাজনীতিবিদ এবং মহিলাকে গ্রেফতারের পর এমনটি তথ্য বেরিয়ে এসছে। যাদের অতিত পারিবারিক ঐতিয্য ছিলো দারিদ্রের কষাঘাত। অথচ এখন তারা বিশাল শিল্পপতি। তাদের বাড়ি থেকে পুলিশ উদ্ধার করছেন কোটি-কোটি টাকা, অস্ত্র এবং মাদক। এদিক থেকে উপজেলা এবং গ্রাম পর্যায়ে শুরু হয়নি তেমন কোন অভিযান। ফলে যে যার মতো অবৈধ সম্পদের মালিক বনে যাচ্ছেন। এ বিষয়ে গ্রামের অনেক সুধিজন বলেন এখন ক্রাইম ও অপরাধ শহরের থেকে গ্রামে বেশ বৃদ্ধি পেয়েছে। গ্রাম এলাকাতে প্রশাসনের নজরদারি খুবই কম নেই বল্লেই চলে।এরই সুযোগ কাজে লাগাচ্ছেন অনেক মাদক ব্যাবসায়ি।অনেকেই অবৈধ ভাবে হয়ে পরছেন রাতারাতি কোটিপতি। এদের আচার-আচরণ ও চোখে পড়ার মতো,এরা নিজেদের টাকার গরমে যেভাবে সেভবে চলাফেরা করছে,এদের মধ্যে নেই কোন মানবতার নেই কোন সন্মান বোধ। এখতো আবার গ্রামের নির্জন পরিবেশে চলছে বিভিন্ন ধরনের প্রতারনা চক্রের আনাগোনা, চলছে বিকাশ প্রতারনা, মোবাইল প্রতারণা, চলছে রমরমা সুদের ব্যাবসাও বিভিন্ন ধরনের মাদক ব্যাবসা ও পতিতাবৃত্তি । তবে গ্রামে যারা অল্প দিনের মধ্যে এসি সম্পৃক্ত আলিশান বাড়ি, বিলাশ বহুল গাড়ি ও বিমানে শহরে যাতায়াত-সহ উন্নত হোটেলে থাকা এবং শহরে ফ্লাট কিনে নিজেদের কোটিপতি দাবি করছেন তাদের অধিকাংশ জনই মাদক ব্যবসায়ি, সুদের ব্যবসায়ি,ইমো-বিকাশ হ্যাকার,নামে-বে নামে সমিতি খোলা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ বানিজ্য, এবং প্রশাসনকে ম্যানেজ করে নিম্ন মানের ঠিকাদারি কাজ করা সহ অবৈধ পথে কোটিপতি হয়েছেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন স্কুল শিক্ষক বলেন, এমন একটি সময় ছিলো যখন মানুষ পড়া-লেখা করে তারকা হয়েছেন। জয় করে নিয়েছেন গোটা বিশ্ব। তাদের সেই কষ্ট, পরিশ্রম আর অর্জনের গল্পগুলো আমাদের উৎসাহ জোগায়। নতুন করে বাঁচার স্বপ্ন দেখায়। কিন্তু বর্তমানে যারা পড়া-লেখা জানেনা, কিংবা দ্বিতীয় শ্রেনীর কর্মকর্তা তারাও বহুতল বিশিষ্ট আলিশান বাড়ি নির্মান করে শরীরে দামি সেন্ড ব্যবহার করে এলাকায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। কিনছেন একের পর এক জমি-জমা সহ নতুন নতুন গাড়ি এবং উন্নত মানের ফার্নিচার ও আসবাবপত্র। এদের মধ্যে অনেকই রাজনীতির খাতায় নাম লিখে নিজেদের নেতা হিসাবে জাহির করছেন অমুক ভাই,তমুক ভাই হিসাবে। আর তাদের পেছনে-পেছনে থাকছেন কিছু উর্তি বয়সের যুবক। সার্বিক বিষয়ে এলাকার শুশীল সমাজের লোকজন বলেন, উপজেলা পর্যায়ে কর কমিশন অফিস থাকলেও তাদের ভুমিকা প্রশ্নবিদ্ধ ! অপর দিকে জেলা পর্যায়ে দুর্নীতি দমনে নিয়োজিত দু’দকের অফিস থাকলেও তাদের নজরদারি নেই বল্লেই চলে।ফলে যে যার মতো অবৈধ সম্পদের মালিক বনে যাচ্ছেন। এ বিষয়ে বিভিন্ন এলাকার অনেকেই বলেন বর্তমানে গ্রামেও বসবাস করা মুশকিল হয়ে পড়েছে। এতোটাই অপরাধের প্রবণতা বেড়েছে এবং এদের চলাফেরার যে স্টাইল তাতে আমাদেরকেই মাথা নিচু করে থাকতে হয়।সমাজে সন্মান উঠে গেছে।প্রশাসনের নজরদারি গ্রামে বাড়ানো উচিৎ।