ধর্ম ডেস্ক: পৃথিবীতে সব মানুষেরই শত্রু আছে। শত্রুহীন কোন মানুষ নেই। কারও বড় আর কারও হয়তো ছোটো। মানবজীবনের উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে তার শত্রু ও বৃদ্ধি পায়। কেউ বন্ধু রূপে আপনার শত্রুতা করবে, আবার কেউ প্রকাশ্যে । পৃথিবীর শুরু থেকে এর সূত্রপাত। জীবনে উন্নতি সাধন ও শত্রুর ক্ষতি থেকে বাঁচতে হলে আমাদের মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে সাহায্য প্রার্থনা করতে হবে।
বিভিন্ন আমল করে শত্রুর অনিষ্ট থেকে বেঁচে থাকার চেষ্টা করা যায়। তন্মধ্যে একটি দুয়া বেশ বিখ্যাত। হজরত আবু মুসা আশআরি (রা.) বলেন, আল্লাহর রাসুল (সা.) কোনো গোত্র বা লোকদের ব্যাপারে ভয় পেলে, এই দুয়াটি পড়তেন।
আরবি :
اللَّهُمَّ إِنَّا نَجْعَلُكَ فِي نُحُورِهِمْ وَنَعُوذُ بِكَ مِنْ شُرُورِهِمْ
উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা ইন্না নাজআলুকা ফি নুহুরিহিম, ওয়া নাউজুবিকা মিং শুরুরিহিম।
অর্থ : হে আল্লাহ! আমরা তোমাকে শত্রুর মোকাবেলায় পেশ করছি, তুমিই তাদের দমন করো। আর তাদের অনিষ্ট থেকে তোমার নিকট আশ্রয় চাই। (আবু দাউদ, হাদিস : ১৫৩৭)
আরও একটি ছোট আমল করতে পারেন। এতে শত্রুর হাত থেকে সম্পূর্ণরূপে মুক্তি লাভ করবেন ইন শা আল্লাহ।
আমলটি হল-
اللَّهُمَّ مُنْزِلَ الْكِتَابِ ، سَرِيعَ الْحِسَابِ ، مُجْرِيَ السَّحَابِ ، هَازِمَ الأَحْزَابِ ، اهْزِمْهُمْ وَزَلْزِلْهُمْ
উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা মুনযিলাল কিতাব, সারিয়াল হিসাব; মুজরিয়াস সাহাব, হাযিমাল আহযাব। আহযিমহুম ওয়া যালযিলহুম।
অর্থ : হে আমার মালিক ! কোরআন অবতীর্ণকারী; দ্রুত হিসাব গ্রহণকারী, মেঘকে পরিচালনাকারী। শত্রুবাহিনীকে পরাজিত ও প্রতিহত করাে, তাদের দমন ও পরাজিত করাে; তাদের মধ্যে কম্পন সৃষ্টি করে দাও। (তাবরানি, হাদিস : 989)
আলোকিত প্রতিদিন // আতারা