গজারিয়ায় আজ থেকে ২২ দিন পর্যন্ত ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ : কঠোর অবস্থানে উপজেলা প্রশাসন

0
303

ক্রাইম রিপোর্টার:  গজারিয়ায় ঢাক-ঢোল বাজিয়ে ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুম ০৪ হতে ২৫
অক্টোবর পর্যন্ত ২২ দিন ইলিশসহ নদীতে সবধরনের মাছ আহরণ, পরিবহন, মজুত, বাজারজাতকরণ ক্রয়-বিক্রয়
সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে উপজেলা প্রশাসন।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার মেঘনা নদীতে মা-ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান
বাস্তবায়নে গত কয়েকদিন যাবৎ উপজেলার মৎস্যঘাটগুলোতে ব্যানার ফেস্টুন মাইকিং করে এবং ঢাক-ঢোল পিটিয়ে
স্থানীয় জেলে ও জনসাধারণকে সচেতন করেন উপজেলা মৎস্য অফিস ও উপজেলা প্রশাসন।

গত কয়েকদিন যাবত উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়ন, ওয়ার্ড পর্যায়ে মাইকিং, বেনার ফেস্টুন এবং লিফলেটসহ
বিভিন্ন স্থানে মাছ ধরা নিষিদ্ধ বিষয়ে আলোচনা করেন।

গজারিয়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. টিপু সুলতান বলেন, মুন্সিগঞ্জ জেলার মধ্যে গজারিয়া উপজেলার
টানবলাকী, বাটি বলাকী, নতুন চর, ডোবার চর, ইসমানির চর নয়ানাগর সহ মেঘনা নদীর তীরবর্তী এলাকায় সবচেয়ে
বেশি জেলে। এতে কিছু জেলে নিবন্ধিত। জেলেদের মতে বেসরকারিভাবে প্রায় অর্ধলক্ষ গজারিয়া উপজেলায়
মাঝিমাল্লা জেলে রয়েছে।তিনি বলেন, আগামী ৪ অক্টোবর থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত গজারিয়া উপজেলা মেঘনা নদীতে আমাদের সবধরনেরনঅভিযান চলবে। এ ছাড়াও গজারিয়া উপজেলার মাছঘাট, আড়ত, হাট-বাজারসহ সংশ্লিষ্ট এলাকায় ২২ দিন এই অভিযান পরিচালিত হবে।

গজারিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার জিয়াউল ইসলাম চৌধুরীর বলেন, ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান আগামী ৪ই অক্টোবর
থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত মোট ২২ দিন ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুম তাই ইলিশ মাছ আহরণ, পরিবহন, মজুদ,
বাজারজাতকরণ, ক্রয়-বিক্রয় ও বিনিময় সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ও দণ্ডনীয় অপরাধ। এ অপরাধে আপনার এক বছর থেকে দুই বছরের
কারাদণ্ড বা পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড কিংবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হতে পারে।

তিনি আরো বলেন, ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান ২০২১ বাস্তবায়নে কর্মসূচি নির্ধারণের জন্য উপজেলায় টাস্কফোর্স
কমিটি গঠন করা হয়েছে। এদিকে সকল সচেতন নাগরিক, গণমাধ্যম কর্মী ও জনপ্রতিনিধিকে সিদ্ধান্তসমূহ
বাস্তবায়নে সহযোগিতা করার অনুরোধ জানিয়েছে গজারিয়া উপজেলা প্রশাসন।

আলোকিত প্রতিদিন // আতারা

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here