ফেনী জেলা তথ্য অফিস কর্তৃক ‘এসো মুক্তিযুদ্ধের গল্প শুনি’ শীর্ষক অনুষ্ঠান আয়োজন

0
252

ফেনী প্রতিনিধি:  জেলা তথ্য অফিস ফেনীর আয়োজনে নতুন প্রজন্মের নিকট মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরার লক্ষ্যে ফেনী মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ে ‘এসো মুক্তিযুদ্ধের গল্প শুনি’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত । অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফেনীর স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক ড. মো. মঞ্জুরুল ইসলাম। মূল বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফেনীর বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মোতালেব। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফেনী সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার( ভূমি) আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ ভূঞা। জেলা তথ্য অফিসার ফেনী রেজাউল রাব্বী মনির এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য পেশ করেন ফেনী মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম। অনুষ্ঠানে ফেনী মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত থাকেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে মহান মুক্তিযুদ্ধের উপর প্রামাণ্যচিত্র দেখানো হয়। পরবর্তীতে আলোচনা পর্ব শুরু হয়। বক্তাগণ উপস্থিত ছাত্র- ছাত্রীদের কাছে মুক্তিযুদ্ধের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস, মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্ব গাঁথা সহজ- সরল ও প্রাঞ্জল ভাষায় ফুটিয়ে তুলেন। প্রধান আলোচক বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মোতালেব তাঁর যুদ্ধে গমণের গল্প, ট্রেনিং, অন্যান্য যুদ্ধাদের সাথে ক্যাম্পিং ও গেরিলা আক্রমনের কাহিনী শিক্ষার্থীদের নিকট বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করেন। জাতির পিতার ডাকে সাড়া দিয়ে পরিবার পরিজন ফেলে অন্যান্য সহযোদ্ধাগণ কীভাবে মুক্তিযুদ্ধে জড়িয়ে পড়েন, তা তিনি বর্ণনা করেন। মুক্তিযোদ্ধাদের যুদ্ধক্ষেত্র থেকে পরিবারের কাছে পাঠানো চিঠি থেকেও কিছু অংশ তিনি পড়ে শোনান। শিক্ষার্থীরা মনোযোগ দিয়ে যুদ্ধক্ষেত্রের দিনগুলোর কাহিনী শোনেন। প্রধান অতিথি স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক ড. মো. মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, তিনি নিজেও মুক্তিযুদ্ধ দেখেননি। আজকে একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার যুদ্ধকালীন অভিজ্ঞতা শোনে তিনিও শিহরিত হয়েছেন। তিনি সশ্রদ্ধ চিত্তে স্মরণ করেন মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। তিনি বলেন বঙ্গবন্ধু মানেই বাংলাদেশ, বাংলাদেশ মানেই বঙ্গবন্ধু। নতুন প্রজন্মকে জাতির পিতা ও মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে জানতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, মুক্তিযোদ্ধাদের চরম ত্যাগ সম্পর্কে যখন আমরা জানবো, তখন আমাদের মধ্যে তার চেতনা আসবে, এবং দেশপ্রেম জাগ্রত হবে। তিনি ছাত্র-ছাত্রীদের চারপাশের প্রকৃতি দেখতে বলেন। তিনি বলেন তোমরা দেখ কতো সুন্দর আমাদের এই দেশ। এই সুন্দর দেশে আমরা ছিলাম পরাধীন। পরাধীন অবস্থায় যতো সৌন্দর্যের মধ্যেই থাকো, মনে আনন্দ থাকবে না। আমাদেরও আনন্দ ছিলো না পাকিস্তানি শাসনে। আমাদেরকে এই পরাধীনতা থেকে মুক্তি দেয় আমাদের বীর মুক্তিযোদ্ধাগন। আমরা স্বাধীনতা পাই। আমরা তাদের অবদান কখনো ভুলবো না। তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের ত্যাগের মূল্য হিসেবে শিক্ষার্থীদের মানুষের মতো মানুষ হয়ে দেশসেবায় নিজেদের নিয়োজিত করতে বলেন। অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধের উপর আয়োজিত কুইজ প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের সনদ ও পুরস্কার প্রদান করা হয়।

আলোকিত প্রতিদিন // আতারা

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here