ফিচার ডেস্ক: কানাডার বাউন্টিফুলের উইনস্টন ব্ল্যাকমোর। ৬৫ বছরের বৃদ্ধ তিনি। খ্রিস্টধর্মীয় এই ধর্মযাজকের ঘরে আছেন ২৭ জন স্ত্রী ও ১৫০ সন্তান।বর্তমানে তিনি বিশ্বের সবচেয়ে বড় পরিবার ও বেশি সংখ্যক স্ত্রী আছে এমন ব্যক্তির তালিকায় বিশেষ জায়গা করে নিয়েছেন।সম্প্রতি তার ২১ বছর বয়সী এক কন্যা মারলিন ব্ল্যাকমোর নিজ জীবনের কাহিনী ভাগাভাগি করেছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।মারলিন জানান, তিনি এমন এক পরিবারে বড় হয়েছেন যেখানকার পরিবেশ সম্পূর্ণই আলাদা।
নিজের টিকটক অ্যাকাউন্টে একটি ভিডিও পোস্ট করে মারলিন জানান, ‘ সবসময় আমি নিজের পরিচয় গোপন করে এসেছি। তবে আর কতদিন লুকিয়ে রাখব! নিজের জীবনের কাহিনী সবার সঙ্গে ভাগাভাগি করে নিতে চাই।’বর্তমানে মারলিন যুক্তরাষ্ট্রে থাকেন। মারলিন জানান, ‘ছোটবেলা থেকেই মায়ের আদর পাইনি। এতো বড় পরিবার থাকা সত্ত্বেও বাবার নির্দেশে আমরা সব ভাই ও বোনেরা একটি ‘মোটেল হাউসে’ বসবাস করতাম। সেখানে ক্যাটাগরি করে বোনদের ও ভাইদের আলাদাভাবে রাখা হয়েছিল।’
মারলিন তার ১৪৯ ভাইবোনের নাম একসঙ্গে মনে রাখতে না পারলেও তাদের চেহারা দেখলে নাম মনে পড়ে যাওয়ার কথা জানান। তিনি তার শিক্ষাজীবনের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, ‘আমাদের সব ভাই বোনদের জন্য একটি ব্যক্তিগত স্কুল ছিল। যেখানে কেজি থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ানো হত।’
মারলিন আরও জানান, ‘ভাইবোনদের মধ্যে ২২জন তার বাবা উইনস্টনের সঙ্গে ছিলেন। সেই ২২ জনের মধ্যে ১৬ জনই এখন তার স্ত্রী। কতটা জঘন্য ব্যক্তি তিনি যে নিজ কন্যাদেরকেই বিয়ে করেছেন!’তার নির্দেষ অনুযায়ী আমরা নিজের মাকে ‘মম’ আর অন্য মায়েদেরকে ‘-মা’, প্রথম নামের সঙ্গে মা বলে ডাকতাম।’
মারলিনের সঙ্গে অনেক বছর তার বাবার কোনো যোগাযোগ নেই। কারণ তিনি ও তার দুই ভাই চান না তার বাবার পরিচয় দিতে। তবে তার বাকি ভাই-বোনেরা বাবার সঙ্গেই বাস করেন।
সূত্র: মিরর/ডিএনএইন্ডিয়া
আলোকিত প্রতিদিন // আতারা