ধর্ম ডেস্ক: আজ বিশ্ব শিক্ষক দিবস। শিক্ষকদের প্রকৃত মানুষ গড়ার কারিগর বলা হয়। একজন শিক্ষার্থী প্রকৃত মানুষ রূপে গড়ে ওঠার পেছনে শিক্ষকের অবদান কোনো অংশে কম নয়।স্বয়ং মহান রব্বেকা‘বা শিক্ষকদের বিশেষ মর্যাদা দান করেছেন।ফলে সমাজে শিক্ষকরা বিশেষ সম্মানের অধিকারী।মহাগ্রন্থ আল কুরআনে নাজিলকৃত প্রথম আয়াতে জ্ঞানার্জন ও শিক্ষাসংক্রান্ত কথা বলা হয়েছে। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, ‘পড়! তোমার প্রভুর নামে, যিনি সৃষ্টি করেছেন। যিনি মানুষকে সৃষ্টি করেছেন একবিন্দু জমাট রক্ত থেকে। পড়! আর তোমার প্রতিপালক পরম সম্মানিত। যিনি কলমের দ্বারা শিক্ষা দিয়েছেন। তিনি মানুষকে শিক্ষা দিয়েছেন, যা সে জানত না। ’ (সুরা আলাক: ১-৫)।
বিশ্বনবি হজত মুহাম্মদ (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘তোমরা জ্ঞান অর্জন করো এবং জ্ঞান অর্জনের জন্য আদব-শিষ্টাচার শেখো। আর যার কাছ থেকে তোমরা জ্ঞান অর্জন করো, তাকে সম্মান করো।’ (আল-মুজামুল আওসাত, হাদিস : ৬১৮৪)। শিক্ষা অনুযায়ী মানবচরিত্র ও কর্মের সমন্বয় সাধনই হচ্ছে রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর তাগিদ।আমাদের সমাজে শিক্ষকদের বেশ মূল্যায়ন করা হয়।যুগ যুগ ধরে শিক্ষকজাতিই সর্বোচ্ছ সম্মানিত। হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, ‘আল্লাহর পরে, রাসূলের পরে ওই ব্যক্তি সর্বাপেক্ষা মহানুভব যে জ্ঞানার্জন করে ও পরে তা প্রচার করে।’ (মিশকাত শরিফ)।
হজরত জায়েদ ইবনে সাবেত (রা.) একবার তার সওয়ারিতে (বাহন) ওঠার জন্য রেকাবে (সিঁড়িতে) পা রাখলেন। তখন ইবনে আব্বাস (রা.) রেকাবটি শক্ত করে ধরলেন। এ সময় জায়েদ ইবনে সাবেত (রা.) বললেন, হে রাসুল (সা.)-এর চাচাতো ভাই, আপনি হাত সরান। উত্তরে ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, না, আলেম ও বড়দের সঙ্গে এমন সম্মানসূচক আচরণই করতে হয়। (আল ফকিহ ওয়াল-মুতাফাক্কিহ : ২/১৯৭)।
আলোকিত প্রতিদিন // আতারা