আবু সায়েম, কক্সবাজার
এক সময় স্লোগান দিতেন, “কেউ খাবে কেউ খাবে না, তা হবে না, তা হবে না। কেউ থাকবে গাছ তলায় কেউ থাকবে উপর তলায়, তা হবে না, তা হবে না।” মুবিজবর্ষে দেশের প্রায় ৯ লাখ গৃহহীন মানুষকে ঘর নির্মাণ করে দিয়ে সে স্লোগানকে বাস্তবে রূপ দিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পৃথিবীর ইতিহাসে এমন রাষ্ট্র নায়ক খোঁজে পাওয়া যাবে না যা প্রধানমন্ত্রী করেছেন। দেশে এখন কেউ না খেয়েও থাকে না। মঙ্গলবার (৫ অক্টোবর) সকালে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (কউক) আয়োজিত বিশ্ব বসতি দিবসের এক সেমিনারে অংশ নিয়ে বক্তারা এসব কথাই বলেছেন। “নগরী কর্মপন্থা প্রয়োগ করি, কার্বন মুক্ত বিশ্বগড়ি” এ স্লোগানে অনুষ্ঠিত সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন কউক চেয়ারম্যান লে কর্ণেল অব. ফোরকান আহমেদ।পরিচালনা করেন কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সচিব (কউক) আবু জাফর রাশেদ। এলডিএমসি, পিএসসি। সভাপতির বক্তব্যে তিনি বলেন, শেখ হাসিনার অবদান, সবার জন্য বাসস্থান এই স্লোগানকে সামনে রেখে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের বাস্তবায়নাধীন আবাসিক ফ্ল্যাট উন্নয়ন প্রকল্প-১ প্রকল্পের কাজ এগিয়ে যাচ্ছে এবং বঙ্গবন্ধু স্মার্ট সিটি, বঙ্গবন্ধু থিম পার্ক, কক্সডিএ এপার্টমেন্ট প্রকল্প এর মতো বড় বড় প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়া পরিকল্পিত পর্যটন নগরী বাস্তবায়নের নিমিত্ত কক্সবাজার জেলার মহাপরিকল্পনা প্রণয়নের কাজও খুব শীঘ্রই শুরু হবে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে পেশ করেন, কুতুবদিয়া-মহেশখালী আসনের সাংসদ আশেক উল্লাহ রফিক। সেমিনারে বক্তারা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাতাসে কার্বণ বেড়ে যাওয়ায় আতংকে রযেছে বিশ্ববাসী। কার্বণের মাত্রা কমিয়ে আনতে বৃক্ষ রোপণের মাধ্যমে সবুজায়নের বিকল্প নেই। তাই প্রত্যেকের উচিত নিজ নিজ আঙ্গিনায় অন্তত একটি করে বৃক্ষ রোপণ করা। কারণ বিভিন্ন উৎস থেকে নিসৃত কার্বণ গ্রহণ করে গাছ। মনে রাখতে হবে কার্বণ নিঃসরণ বন্ধ করা যাবে না, কিন্তু এটি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। সেমিনারে আরও বক্তব্য পেশ করেন, কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী, কউক সদস্য (প্রকৌশল) লে কর্ণেল খিজির খান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (মানব সম্পদ) নাসিম আহমেদ, ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহি উদ্দিন আহমেদ, কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি রেজাউল করিম, উত্তর বনবিভাগের বিভাগীয় বনকর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন সরকার, গণপূর্ত বিভাগের প্রধান নির্বাহী প্রকৌশলী ইমতিয়াজ আহমেদ, নগর পরিকল্পনা কর্মকর্তা নাজিম আহমেদ।
আলোকিত প্রতিদিন // আতারা