প্রতিনিধি, টাঙ্গাইল: টাঙ্গাইলে মির্জাপুর উপজেলার জামুর্কী ইউনিয়নের চকুরিয়া গ্রামে বানাইল পল্লি জনতা উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীকে অপহরণ করে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর পিতা বাদি হয়ে গত ১১সেপ্টেম্বর আদালতে মামলা দায়ের করেছেন। আদালত মামলাটি তদন্তের জন্য জেলা গোয়েন্দা সংস্থকে (ডিবি) দায়িত্ব দিয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, মির্জাপুর উপজেলার জামুর্কী ইউনিয়নের চকুরিয়া গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে সাফি মিয়া (১৮) দীর্ঘদিন যাবত বাদীর মেয়েকে স্কুলে যাতায়াতের সময় প্রেমের প্রস্তাব দিত। প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় গত ৯ সেপ্টেম্বর ভোরে প্রকৃতির ডাকে ওই ছাত্রী ঘরের বাহিরে গেলে অভিযুক্ত সাফি একই এলাকার রফিকুলের স্ত্রী শাহিনুর বেগম(৪৫),সিরাজ মৌলভীর ছেলে আবু মিয়া (৫২),আব্দুর রফের ছেলে আব্দুর রহমানের সহযোগিতায় অপহরণ করে।পরে তার বন্ধুর বাড়িতে নিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
এ বিষয়ে ধর্ষিতার পিতা শহিদুল ইসলাম জানান, এলাকায় সাফি ও তার পরিবার প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে কিউ মুখ খুলতে সাহস পায় না। ঘটনার প্রত্যক্ষ স্বাক্ষী সেকান্দরের ছেলে মোক্তার হোসেন ও লুৎফর রহমানের ছেলে নাঈম তালুকদারকে হুমকি দেওয়ায় তারা পলাতক রয়েছে।অভিযুক্ত সাফি পলাতক থাকায় যোগাযোগ করা যায়নি। আব্দুর রহমানের সাথে মুঠফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, মেয়ের বাবা আমরা একই পরিবার। সামাজিক দ্বন্দ্বের কারণে আমকে মামলায় জড়ানো হয়েছে।জামুর্কী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রুবেল চৌধুরী জানান, সাফির দাবী ওই স্কুল ছাত্রীর সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল।এ কারণে সে স্বেচ্ছায় আমার সাথে চলে আসে।তবে পরিবারে সাথে বনিবনা না হওয়ায় তারা আদালতে মামলা করেছেন।জেলা গোয়েন্দা সংস্থা (ডিবি)’র উপ-পরিদর্ষক মো. ওবায়দুর রহমান জানান, মামলাটি তদন্তাধীন আছে। তদন্ত পূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আলোকিত প্রতিদিন // আতারা