ফিচার ডেস্ক: পৃথিবীর মধুর এক বন্ধন স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক ।আমরণ যারা একে অপরের পাশে থাকে। শুধু কি তাই?এক ঘরে ,একই খাটে থেকে তারা পরস্পরের সুখ-দুখ ভাগ করে নেয়। কিন্তু এই মধুর সম্পর্কেও ফাটল ধরতে বেশি সময় লাগে না। পারিপার্শ্বিক নানা কারণে দাম্পত্য সম্পর্ক ভেঙে যেতে পারে। তার মধ্যে অন্যতম হলো পরকীয়া। নিজের স্ত্রীকে অন্য পুরুষের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে দেখতে চান না কোনো পুরুষই। ঠিক একইভাবে পরনারীর সঙ্গে স্বামীর সময় কাটানোও পছন্দ করেন না কোনো স্ত্রী। এসব কারণে বর্তমানে অনেক সংসারই নষ্ট হচ্ছে। সম্প্রতি আমাদের দেশে পরকীয়া বেড়েছে ব্যাপকহারে।ভেঙে যাচ্ছে হাজারো দাম্পত্য ।তবে জানলে অবাক হবেন, বিশ্বের এমনও কিছু স্থান আছে যেখানকার পুরুষরা পরকীয়া ঠেকাতে স্ত্রী অদলবদল করেন ।
হিমালয়ের আর্যরা
হিমালয়ে বসবাসকারী এই ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠিরা দ্রোকপা নামেও পরিচিত।তারা উত্তর ভারতে সিন্ধু নদীর তীরে বসবাস করেন। এরা জনসংখ্যায় ৩০০০ জন। এই সম্প্রদায়ের পুরুষরা স্ত্রী বদল করার সংস্কৃতি পালন করেন। ধারণা করা হয়, এরা আলেকজান্ডার দ্য গ্রেটের সৈন্যদের বংশধর। এই উপজাতিদের সংস্কৃতি বেশ ভিন্ন। তারা সাধারণ সমাজের কোনো নিয়মই অনুসরণ করে না। তারা একে অপরের প্রতি খুবই বন্ধুসুলভ ও স্নেহশীল। স্ত্রী অদলবদলের রীতি তাদের কাছে বেশ সাধারণ।
হিম্বা উপজাতি
নামিবিয়ান এই ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠির সদস্যরা অদ্ভুত সব রীতি-রেওয়াজ অনুসরণ করেন।তাদের সদস্য সংখ্যা প্রায় ৫০ হাজার।এই গোষ্ঠির হিম্বারা তাদের লালচে ত্বকের জন্য জনপ্রিয়। আসলে তারা ত্বকে এক ধরনের লাল মাটি ব্যবহার করে।এই গোষ্ঠির পুরুষরা তাদের স্ত্রীদেরকে অন্য পুরুষের সঙ্গে রাত কাটানোর সুযোগ করে দেয়। যাকে বলা হয় ‘ওকুজেপিসা ওমুকাজেন্দু’। এক্ষেত্রে একজন ব্যক্তি তার স্ত্রীকে অতিথির কাছে এক রাতের জন্য থাকার অনুমতি দেন।যদিও একজন নারী অতিথির সঙ্গে ঘুমাতে অস্বীকার করতে পারেন। তবে বেশিভাগই স্বামীর সিদ্ধান্ত মেনে পরপুরুষের সঙ্গে রাত কাটান। তাদের ধারণা, এতে সম্পর্ক ভালো থাকে ও হিংসা দূর হয়।
এস্কিমো
এই ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠির সদস্যরাও চাইলে স্ত্রী বদলের মাধ্যমে অন্য পুরুষের স্ত্রীর সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করতে পারেন। আবার তার স্ত্রীও একইভাবে অন্য পুরুষের সঙ্গে অবাধে যৌনমিলন করতে পারেন। এছাড়াও যখন কোনো নারীর স্বামী শহরের বাইরে বা শিকারে দূরে যান, তখন তিনি চাইলেই স্বামীর ভাইয়ের সঙ্গে যৌনমিলন করতে পারেন। এমনকি অন্য পুরুষের সন্তান গর্ভে ধারণ করাও বৈধ তাদের সমাজে।
ওডাবি গোত্র
এই গোত্রের পুরুষরা তাদের স্ত্রীকে যদিও ভাগ করে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন না,তবে নারীরাই তাদের সৌন্দর্যে আকৃষ্ট করেন অন্য পুরুষদের। তারা যত খুশি যৌন সঙ্গীর সঙ্গে মেলমেশা করতে পারেন।এমনকি যে কারও সঙ্গে ও যে কোনো সময় যৌন সম্পর্ক স্থাপন করতে পারেন তারা।
সূত্র: ওডিবাগস
আলোকিত প্রতিদিন // আতারা