সোহেল রানা চৌধুরী:
দক্ষিণ বঙ্গের প্রবেশদ্বার খ্যাত রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া বাজার এলাকায় নামে বেনামে অবৈধ আবাসিক বোডিং গুলোতে চলছে রমরমা দেহ ব্যবসা।
জানা গেছে, দৌলতদিয়া বাজার এলাকায় নামে বেনামে যে সকল অবৈধ আবাসিক বোডিং গড়ে উঠেছে সে সকল বোডিং গুলেতে রাতে চলে রমরমা দেহ ব্যবসা। এ বোডিংগুলো কিছু স্থানীয় দালাল টাইপের লোক দ্বারা পরিচালিত হয়ে থাকে। রাতে প্রতিটি বোডিং দুই থেকে তিন জন করে মহিলা থাকে তাদের কাজ দেহ ব্যবসা করা আর লোক পটানো । পতিতালয়ের মত মহিলা আবাসিক বোডিংগুলোতে ছোট ছোট মেয়েদের দিয়ে দেহ ব্যবসা করাচ্ছে কারণ ছোট মেয়েদের কাস্টমারা বেশি চয়েস করে আর বেশি টাকা দিয়ে থাকে। যে মহিলাদের বয়স একটু বেশি তারা প্রতি রাতে ২ থেকে ৪ হাজার টাকা ইনকাম করে আর যে সকল মেয়েদের অল্প বয়স তাদের প্রতি রাতে ইনকাম ৫ থেকে ১০ হাজার। মেয়েরা দেহ ব্যবসা করে যে টাকা উপার্জন করে তার অর্ধেক টাকা আবাসিক বোডিং মালিকেরা নিয়ে নেয়।
আবার রাতে বোডিং মালিকেরা ফোন মাধ্যমে কন্ট্রাক করে বিভিন্ন এলাকা থেকে অল্প বয়সের মেয়েদের নিয়ে আসে তারা সারা রাত বোডিংয়ে থেকে ভোর বেলা বেরিয়ে যায়। বাজারমুখী অবৈধ আবাসিক বোডিংগুলোতে রমরমা দেহ ব্যবসা করায় ব্যাপক ভাবে ক্ষতি হচ্ছে বাজারের পরিবেশ। বাজারের পরিবেশ সুন্দর ভাবে বজায় রাখতে গোয়ালন্দ ঘাট থানার অফিসার ইনচার্জের হস্তক্ষেপ চান ব্যবসায়ীরা। আবাসিক বোডিংয়ে দেহ ব্যবসায়ী নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তিনি বলেন, আগে আমরা সন্ধ্যার পর থেকে লোকজন বসাতাম এখন আবার নতুন আইন করছে বোডিং মালিকেরা রাত ৯ টার পর থেকে সারা রাত লোকজন করে যত টাকা ইনকাম করবো তার অর্ধেক টাকা বোডিং মালিকের দিয়ে বাদবাকী টাকা নিয়ে সকালে চলে আসি। দৌলতদিয়া বোডিং সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম ফকির বলেন, বাজারে পাশে হাতে গোনা কয়েকটি বোডিংয়ে অবৈধ কার্যকালাপ করে থাকে এর জন্য আমি অনেক বার বোডিং মালিকদের নিষেধ করেছি। নিষেধ করার পরও তারা বোডিংয়ে দেহ ব্যবসা করে যাচ্ছে। এখন তাদের সমিতি বাদ দিয়া দেব।
গোয়ালন্দ ঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল্লাহ্ আল তায়াবীর দৈনিক আলোকিত প্রতিদিনকে বলেন, পতিতালয় কাছে থাকতে ঐখানে আবার দেহ ব্যবসা চলবে কেনো। যেহেতু পতিতালয়ের যাবার সুযোগ আছে। আমি বিষয়টি দেখবো।
আলোকিত প্রতিদিন/ ৬ অক্টোবর-২০২১/ দ ম দ